সংসদে হামলার পুনর্নির্মাণ করবে দিল্লি পুলিশ  

দিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর – নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গত বুধবার সংসদের ভিতরে হানা দেন চারজন। লোকসভার কক্ষে ঢুকে চটিয়ে দেন হলুদ গ্যাস।  চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায় হলুদ ধোঁয়ায়। এই ঘটনার পর তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশে। সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে – এই চার মাথাই পরিকল্পনামাফিক সেদিন এই ঘটনা ঘটান। লোকসভার কক্ষে ঢুকে পড়েছিলেন সাগর এবং মনোরঞ্জন। ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হলুদ গ্যাস। সংসদ ভবনের বাইরে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন নীলম এবং অমল। সেই ঘটনারই পুনর্নির্মাণ করতে চলেছে দিল্লি পুলিশ।

চার জন হানাদারকে আবার নিয়ে যাওয়া হবে সংসদ ভবনে। ওই দিনের মতোই আবার গ্যালারি থেকে লোকসভার কক্ষে লাফ দিয়ে পড়বেন ওই দুই যুবক। কী ভাবে তাঁরা রং বোমা নিয়ে লোকসভার মধ্যে প্রবেশ করলেন, কী কৌশলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে গেলেন, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘটনাক্রম খুঁটিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। সেই কারণেই পুনর্নিমাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বর্তমানে শীতকাল অধিবেশন চলায় ধৃতদের সেখানে নিয়ে গেলে কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই আগামীকাল শনিবার কিংবা রবিবার সংসদ ফাঁকা থাকলে তখনই ঘটনার পুনর্নির্মাণের চিন্তাভাবনা করেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মাস্টরমাইন্ড ললিত ঝাঁ-কে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকেই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। ঠিক কীভাবে তাঁরা পুরো ঘটনার ছক কষেছিলেন তা জানার চেষ্টা  তদন্তকারীরা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গুরুগ্রামের একটি বাড়িতে অভিযুক্তেরা প্রায়ই দেখা করতেন। সংসদ ভবনের পাশাপাশি সেখানেও তাঁদের নিয়ে যাওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে যেখান থেকে ধৃতরা রংয়ের ক্যানিস্টার কিনেছিলেন এবং লখনউয়ের যেখান থেকে ক্যানিস্টার লুকনোর জন্য জুতো কিনেছিলেন, সেখানেও তাঁদের নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আপাতত ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।