• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

সংসদে হামলাকারীদের ফেসবুক পেজের তথ্য জোগাড় করতে মেটার দ্বারস্থ দিল্লি পুলিশ  

দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর –  নতুন সংসদ ভবনে নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে হানাদারদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় ধৃত ছয় অভিযুক্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এখন তদন্তকারীদের নজরে । ফেসবুক পেজ ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে ফেসবুকের মূল সংস্থা ‘মেটা’কে চিঠি পাঠাল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের আলাপ হয়। সেখানেই সংসদ ভবনে

দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর –  নতুন সংসদ ভবনে নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে হানাদারদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় ধৃত ছয় অভিযুক্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এখন তদন্তকারীদের নজরে । ফেসবুক পেজ ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে ফেসবুকের মূল সংস্থা ‘মেটা’কে চিঠি পাঠাল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের আলাপ হয়। সেখানেই সংসদ ভবনে হানা দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল বলেও তদন্তকারীদের অনুমান। কিন্তু পরে সেই অ্যাকাউন্ট ফেসবুক থেকে মুছেও ফেলা হয়। আর সেই কারণেই ওই পেজের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে মেটাকে চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ।  

তদন্ত সূত্রে খবর, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ পেজেই সংসদ ভবনে হানা দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। মেটার কাছে অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও পাঠানোর অনুরোধ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত আরও জানা যায়, পুলিশ অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত ইমেল অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা করছে।এছাড়াও অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখতে মেটাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই ফোন নম্বরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত ইমেল অ্যাড্রেসগুলিও ঘেঁটে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

১৩ ডিসেম্বরের ঘটনায় অভিযুক্তেরা কোথাও থেকে টাকা পেয়েছিলেন কি না, তা খুঁজে বার করতে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশের অনেকগুলি দল রবিবার অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের কাছে থেকে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছে। অভিযুক্ত নীলম আজ়াদ এবং সাগর শর্মার পাসবুকগুলি হরিয়ানার জিন্দ এবং উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি দল মাইসুরুতে অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি-র বাড়িও যায়। মনোরঞ্জনের বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশি কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে কোনও ডিজিটাল লেনদেন হয়েছিল কি না, তা দেখতে ‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়ে চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় নীলম এবং অমল শিন্ডেকে। এ ছাড়া, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
এই ঘটনা নিয়ে সোমবার সরব হন বিরোধীরা। সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের শোরগোলের জেরে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ দুই কক্ষের মোট  ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা।