দিল্লি, ৬ জানুয়ারি– মারামারি-চেয়ার ছোড়াছুড়ির বেনজির সংঘর্ষের জেরে থেমে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। আম আদমি পার্টি ও বিজেপির স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল কর্পোরেশন ভবন।
শুক্রবার মেয়র নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়। তবে এই নির্বাচন ঘিরে প্রথম থেকেই পরিস্থিতি উত্তেজনাময় ছিল। সেই উত্তেজনার আঁচ কর্পোরেশন ভবনে ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি লাগল না। শুক্রবার গোপন ব্যালটে এই নির্বাচন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই আপ-বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কর্পোরেশন ভবন। কেউ কারওর কথা শুনতে নারাজ। এদিকে উঠছিল মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান, অন্যদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গলা চড়াচ্ছিল বিজেপি।
মেয়র নির্বাচনের জন্য বিজেপি কাউন্সিলর সত্য শর্মাকে স্পিকার নিয়োগ করা হয়েছে। দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে শুরু করেন তখনই গন্ডগোল বাঁধে। পরিস্থিতি এমন চরমে পৌঁছায় যায় বাইরে থেকে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে দুই দলকে সংযত করার চেষ্টা করে। বাধ্য হয়েই স্থগিত করতে হয় মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে ২৫০টি ওয়ার্ডের ১৩৪টিতে জিতেছিল আপ। বিজেপি জিতেছিল ১০৪টি আসনে। কিন্তু তারপরও মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় কে কাকে ভোট দিচ্ছেন বোঝা যাবে না। গণনার পর সংখ্যা জানা যেত। কিন্তু দুই দলের ঝামেলার কারণে আজকের মতো এই নির্বাচন স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেন সত্য শর্মা।
আপ মেয়র হিসেবে শেলি ওবেরয়ের নাম ঠিক করেছে। উল্টোদিকে বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী রেখা গুপ্ত। ডেপুটি মেয়র পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
প্রথমে দিল্লি বিজেপি বলেছিল, তারা মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদে লড়বে না। বরং পাঁচ বছর দিল্লি পুরনিগমে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তারপরেই বিজেপির আইটি সেলের মাথা অমিত মালব্য টুইট করে বলেন, ভোট যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও অঙ্ক থাকে।