মলয় ঘটককে কলকাতাতে তলব করার নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
SNS
দিল্লি, ১৮ নভেম্বর – কয়লা পাচার মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন না আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আইনমন্ত্রীর আবেদন ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ খারিজ করা হোক। এছাড়াও তাঁর আবেদন ছিল তাঁকে কলকাতায় তলব করা হোক। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন না মলয় ঘটক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করতে পারে ইডি। দিল্লি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীকে গত দু’বছরে ১২ বার তলব করেছে ইডি।কিন্তু তিনি হাজিরা দিয়েছেন একবার। আইনমন্ত্রীর গরহাজিরার কারণেই দিল্লি হাই কোর্টের রায় তাঁর বিরুদ্ধে যায়। তবে কলকাতাতেই তলব করতে হবে ইডিকে। নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা।
ভবিষ্যতে ইডি যেন তলব না করে এই মর্মে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কয়লা পাচার মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মলয় ঘটক। দিল্লির বদলে ইডির কলকাতার অফিসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করারও আবেদন জানান তিনি। প্রথম আবেদনে সাড়া দেয়নি উচ্চ আদালত।
কলকাতায় তলবের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা আগে নোটিশ দিয়ে মলয় ঘটককে তলবের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্য প্রশাসনকে তদন্তকারী অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। ইডিকে আদালতের নির্দেশ, মলয়ের হাজিরার দিন পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নোটিস দিতে হবে। যেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সমস্যা তৈরি করা না হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, মলয় ঘটককে তাদের কলকাতার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। হাজিরার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে পারবে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। শুক্রবারের রায়ে আগের ওই সমস্ত নির্দেশ বহাল রেখেছে আদালত। একই সঙ্গে জানায়, ইডি অফিসারদের কাজে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। তাঁদের ক্ষতি হবে এমন কিছু না করা হয় তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলকাতা ও আসানসোলে মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। মন্ত্রীর কলকাতার সরকারি আবাসনেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন ইসিএল আধিকারিকের গ্রেপ্তারির পর মলয়ে ঘটকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচার তদন্তে নামে সিবিআই। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার মলয়কে তলব করে ইডি। তখন তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সমনে সাড়া দেননি। এর পরে তাঁকে পর পর সমন পাঠায় ইডি। আদালতে মলয়ের অভিযোগ, ইডি হয়রানি করার জন্য একাধিক বার তলব করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতায় অফিস থাকা সত্ত্বেও তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে দিল্লির অফিসে সমন করেছে। তাঁর আবেদন মেনে কলকাতাতেই তলব করা হোক বলে নির্দেশ দিল আদালত।