দিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর- ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত মদ বিক্রিতে রেকর্ড রাজস্ব আদায় করল দিল্লি সরকার। গত এক বছরে মদ বিক্রি করে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে । গত এক বছরে ৬১ কোটি বোতল মদ বিক্রি করেছে দিল্লি সরকার। শনিবার দিল্লিতে আম আদমি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্কের মাঝে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসে।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে বর্তমান আবগারি নীতি কার্যকর হয়। ২০২৩ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত মদ থেকে দিল্লি সরকার মোট সাত হাজার ২৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব বাবদ আদায় করেছে। এর মধ্যে ভ্যাট রয়েছে দুই হাজার ১৩ কোটি টাকা।
কেজরিওয়াল সরকারের নতুন আবগারি নীতিতে রাজধানীর মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছিল। ওই নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। কেজরীওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল।
নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও দাবি করেছিল সরকার। আগে দিল্লিতে মোট ৮৬৪টি মদের দোকান ছিল। ৪টি সরকারি সংস্থা ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত। বাকি ৩৮৯টি বেসরকারি সংস্থার মালিকদের হাতে ছিল। এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে।
নতুন আবগারি নীতি চালুর আট মাস পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দাবি করা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। নতুন ৬৪৪টি মদের দোকান খোলা হলেও শেষমেশ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পেরে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন। এরপরই জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত , দিল্লির আবগারি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই।