দিলি, ২৪ অক্টোবর– ফের স্বমহিমায় দিল্লি। দিনে-দুপুরে কুয়াশায় ভরা দিল্লি। দূষণের করালছায়ায় বিধ্বস্ত দিল্লিকে করোনা কিছুটা স্বস্তি দিলেও ফের ফিরে এল সেই চেনা ছবি। বাজি পোড়া ধোঁয়া ও খড়কুটো জ্বালানোর ধোঁয়ায় আরও খারাপ হল রাজধানীর বাতাস । বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ও দূষিত কণার পরিমাণ দেখে এখন এশিয়ার অন্যতম দূষিত শহর বলা হচ্ছে দিল্লিকে। রাজধানীর বাতাসের গুণমান গত কয়েকদিনে অতি খারাপ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। প্রতি শ্বাসে শরীরে ঢুকছে বিষ-বাষ্প।
দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, দিল্লির বাতাসের গুণমানের সূচক ২৫৯-এ নেমে এসেছে। গত সাত বছরে দীপাবলিতে দূষণ । এত বাড়েনি যা এই বছরে হয়েছে। আনন্দ বিহারের বাতাসের গুণমান অত্য়ন্ত খারাপ বলেই জানানো হয়েছে। গাজিয়াবাদে বাতাসের গুণমান ছিল ৩০০, নয়ডা ২৯৯, গ্রেটার নয়ডায় ২৮২, গুরুগ্রামে ২৪৯ ও ফরিদাবাদে বাতাসের গুণমান ২৪৮-এ নেমে এসেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, দিল্লির দূষণের । পিছনে অন্যতম বড় কারণ চাষের খেতে শুকনো খড় পোড়ানো ধোঁয়া। লাগোয়া পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে ওই ধোঁয়া এসে জমছে দিল্লির আকাশে। দিল্লি-সহ নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রামের আকাশ ভরে গেছে ওই খড় পোড়া ধোঁয়াতে। এই ধোঁয়ার সঙ্গেই যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণ সংস্থাগুলির বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিলে গিয়ে ঘন ধোঁয়াশা তৈরি করছে। তার সঙ্গেই রয়েছে আতশবাজির ধোঁয়া। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে অন্তত আড়াই গুণ বেশি। শীতে বাতাসে ভাসমান এই কণার পরিমাণই চার গুণ ছাড়িয়ে যাবে।