• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কোটায় বাংলা থেকে পড়তে যাওয়া নিট পরীক্ষার্থীর মৃত্যু 

কোটা, ২৮ নভেম্বর – রাজস্থানের কোটায় বাংলা থেকে পড়তে যাওয়া এক নিট পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হল। ওই পরীক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের কোটার দাদাবাড়ি থানার ওয়াকফ নগর এলাকায়। সেখানে ঘরভাড়া করে থাকছিলেন ২০ বছরের ওই ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে

কোটা, ২৮ নভেম্বর – রাজস্থানের কোটায় বাংলা থেকে পড়তে যাওয়া এক নিট পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হল। ওই পরীক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের কোটার দাদাবাড়ি থানার ওয়াকফ নগর এলাকায়। সেখানে ঘরভাড়া করে থাকছিলেন ২০ বছরের ওই ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ২৮।পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ফৌরিদ হোসেন। ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই তিনি কোটায় গিয়েছিলেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নলহাটির বাসিন্দা ওই ছাত্র গত এক বছর ধরে কোটায় থাকছেন।  তিনি প্রাইভেট কোচিং করে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ফৌরিদের সঙ্গে অন্য ছাত্রেরাও থাকতেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফৌরিদকে তাঁরা শেষ বার দেখেন। এরপর ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ফৌরিদ। দীর্ঘক্ষণ পরেও দরজা না খুললে তাঁর বন্ধুদের সন্দেহ হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ফৌরিদ ফোনও ধরছিলেন না। ভিতর থেকে কোনও সাড়াও দিচ্ছিলেন না। এর পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ির মালিককে খবর দেন ছাত্রেরা। তিনি এসে দরজা খুলে ফৌরিদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রের বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। 

কোটায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের তরফে নানা চেষ্টা করেও ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। কোটা শহরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা পড়তে যান। ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোটার সর্বত্র কোচিং সেন্টারের ছড়াছড়ি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই পড়ার চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই কারণে বেছে নেন মৃত্যুর পথ। আত্মহত্যা ঠেকাতে কোচিং সেন্টারগুলিতে চাপ কমানো, পরীক্ষার ফল প্রকাশ্যে না বলার মতো একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদল হয়নি। চলতি বছরে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে।  এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসন। সমস্ত কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষকে ডেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। তারপরেও ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।