ইজরায়েলের কূটনীতিকের উপর মারাত্মক হামলা চিনে 

১৩ অক্টোবর – ইজরায়েলের কূটনীতিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটল চিনে। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই আধিকারিক। এই ঘটনায় বেজিংয়ের নিন্দায় সরব হয়েছে ইজরায়েল সরকার। ইজরায়েল -প্যালেস্টাইন যুদ্ধ গোটা বিশ্বে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নানা চাপান-উতোর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে।

টাইমস অফ ইজরায়েল সূত্রে খবর, শুক্রবার ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে ইজরায়েলের কূটনীতিককে ছুরি মারা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে কী কারণে ওই কূটনীতিকের উপর হামলা চালানো হয় তা এখনও জানা যায়নি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলায় রক্তাক্ত ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইজরায়েলি ও ইহুদিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।

এই যুদ্ধ আবহে চিনের অবস্থান নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারে বেজিংয়ের সঙ্গে জেরুজালেমের সম্পর্ক বরাবরই উত্তপ্ত। তাই এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্যালেস্টাইনের পক্ষে রয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। এখনও পর্যন্ত সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা যায়নি জিনপিং প্রশাসনকে, যা ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলে মনে করছে ইজরায়েলিরা  । প্রশ্ন উঠছে চিনে বসবাসরত ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস। তার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইজরায়েল। গত সাতদিন রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। ইতিমধ্যে এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজারের উপর মানুষ। এর মধ্যেই তেল আভিভের সাহায্যে যুদ্ধবিমান ও রণতরী পাঠিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। সামরিক সাহায্য পাঠাচ্ছে ব্রিটেনও। বিপরীতে প্যালেস্টাইনের পক্ষে রয়েছে রাশিয়া।  পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একজোট হতে পারে চিন-রাশিয়া , মনে করছেন কূটনীতিকরা। আগামী সপ্তাহে চিনের রাজধানীতে এক  সম্মেলনে যোগ দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে  । অন্যদিকে, যুদ্ধের ময়দানে চিনকে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা।