উত্তরপ্রদেশ,২৭ সেপ্টেম্বর — একজন ভালো শিক্ষক আমাদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি, আমাদের ভালো ব্যবহার,আচার আচরণ ইত্যাদি শিখিয়ে থাকেন। তাই শিক্ষকদের শিক্ষাগুরু বলা হয়।কিন্তু সম্প্রতি এমন এক শিক্ষকের কান্ড সামনে এসেছে যার ক্রুরতা দেখে শিক্ষকের পরিভাষাটাই পাল্টে যাচ্ছে।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঔরাইয়া জেলার আছলদার আদর্শ ইন্টার কলেজে। নিহত ছাত্রের নাম নিখিল ডোহরে। ১৫ বছর বয়সি নিখিল ওই স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল বলে জানা গেছে। জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর ক্লাসে একটি পরীক্ষা নেন সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক অশ্বিনী সিং। সেই পরীক্ষার মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্ন ছিল, যার উত্তর দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের একটি করে ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছিল। জানা গেছে, সেই ওএমআর শিটে একটি প্রশ্নের জন্য ভুউল করে দুটি উত্তর নির্বাচন করে ফেলেছিল নিখিল। তাছাড়া অন্য প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটি শব্দের বানান ভুল লিখেছিল নিখিল। এরপরেই ওই পড়ুয়ার চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে লাথি, ঘুষি মারতে শুরু করেন ওই শিক্ষক। এমনকি, লাঠি দিয়েও তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর শ্রেণিকক্ষেই অজ্ঞান হয়ে যায় ওই ছাত্র।
আহত পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রের চিকিৎসার খরচ দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কিন্তু নিখিলের চিকিৎসার খরচ হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় তার চিকিৎসার অবনতি হয়। ঘটনার ২০ দিন পর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার মৃত্যু হয় নিখিলের।
নিখিলের বাবা রাজু ডোহরে ছেলের মৃত্যুর পর হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোস্ট নিয়ে আছলদা থানায় অশ্বিনী সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের ৩টি দল গঠন করা হয়েছে।