কলকাতা,৬ মে — প্রায় দু সপ্তাহ আগে মহামিছিলের ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষমেশ তারা দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শেষমেশ তার মিছিলের অনুমতি পায়।আজ শনিবার দুপুর একটা সাত মিনিটে হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়েছিল ডিএ মিছিল । ধীরে ধীরে সেই মিছিলের মুখ যখন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পার হল তখন ঘড়িতে একটা ৩৭ মিনিট।কিন্তু মিছিল যখন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট হয়ে হরিশ মুখার্জি রোডের দিকে তখনও মিছিল হাজরা মোড়ে রয়েছে।
যেহেতু মিছিলের পথ অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে তাই সকাল থেকেই অভিষেকের বাড়ির সামনে বিপুল নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল কলকাতা পুলিশ।পুলিশের অনুমান, যে পরিমাণ জমায়েত হয়েছে তাতে গোটা মিছিল ঘুরে হাজরা মোড়ে ফিরতে ঘণ্টা দেড়েকের বেশি সময় লেগে যাবে। এই পথ খুব বেশি আড়াই কিলোমিটার হবে ।
মিছিল নিয়ে প্রশাসন ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সকলেরই উদ্বেগ তৈরী হয়েছিল।এই জায়গাটি শান্তিতে পার করা ডিএ আন্দোলনকারীদের কাছেও চ্যালেঞ্জ ছিল। যাতে না কোনো অপ্রীতিকর পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়। আদালতের ভর্ৎসনা যাতে না শুনতে হয়। তবে অভিষেকের বাড়ির সামনে আন্দোলনকারীদের স্লোগানের পারদ যে কিছুটা চড়েছে তা চাক্ষুষ করা গিয়েছে।
এ ব্যাপারে সংগ্রামী যৌথ আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘শান্তিনিকেতন একটাই আছে। যেটা রবীন্দ্রনাথ তৈরি করেছিলেন। বাকি এসব হল অশান্তিনিকেতন। কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা দায়িত্বশীল। তাঁরা জানেন কীভাবে মিছিল করতে হয়। শুধু সরকার জানে না কর্মচারীদের প্রতি তার দায়িত্ব কী।’