• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অপরাধীর তকমা মুছতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বদলে ফেলছে অপরাধীরা

দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর– ফিঙ্গারপ্রিন্টার গুরুত্ব সব থেকে বেশি অপরাধী ধরতে। আঙুলের ছাপ এই মহাবিশ্বের প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা। কোনও দু’জন মানুষের আঙুলের ছাপ কখনওই এক হয় না। সেই কারণেই বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে ধরা হয় এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট। কিন্তু সেই ফিঙ্গারপ্রিন্টই নিয়ে বর্তমানে যা শোনা যাচ্ছে তা পুলিশের দুঁদে আধিকারিকদেরও ঘোল খায়িয়ে দেওয়ার

দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর– ফিঙ্গারপ্রিন্টার গুরুত্ব সব থেকে বেশি অপরাধী ধরতে। আঙুলের ছাপ এই মহাবিশ্বের প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা। কোনও দু’জন মানুষের আঙুলের ছাপ কখনওই এক হয় না। সেই কারণেই বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে ধরা হয় এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট। কিন্তু সেই ফিঙ্গারপ্রিন্টই নিয়ে বর্তমানে যা শোনা যাচ্ছে তা পুলিশের দুঁদে আধিকারিকদেরও ঘোল খায়িয়ে দেওয়ার মত।

সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কয়েকজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বদল করে দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ । জানা গেছে, এ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে অন্তত ১১ জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বদল করে দিয়েছে তারা। এর জন্য তারা মক্কেলপিছু ২৫ হাজার টাকা নিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হঠাৎ আঙুলের ছাপ বদলানোর তদন্ত করতে গিয়ে মাথায় হাত পুলিশের। জানা গেছে, দেশ থেকে কাজের সূত্রে কুয়েত গিয়েছিল কয়েকজন। কিন্তু সে দেশে কোনও অপরাধমূলক কাজ করার জন্য কুয়েত সরকার তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয়, তাদের দ্বিতীয়বার কুয়েতে প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারপরেই নাম ও পরিচয় বদলে আবার কুয়েত যাওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট বদলের প্রয়োজন পড়ে তাদের।

সোমবার মলকজগিরি জোন, এবং ঘটকেশর পুলিশের যৌথ অভিযানে গজ্জালাকন্ডুগারি নাগা মুনেশ্বর রেড্ডি, সাগাবালা ভেঙ্কট রামন, বভিল্লা শিবশঙ্কর রেড্ডি এবং রেন্ডলা রামা কৃষ্ণ রেড্ডি নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা হায়দরাবাদের একটি হোটেলে থাকছিল। ঘটকেশরের আরও কিছু মক্কেলের উপর এই অস্ত্রোপচার করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এদের মধ্যে বভিল্লা এবং রেন্ডলা কুয়েতে কাজ করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। 

জানা গেছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বদলানোর জন্য প্রাথমিকভাবে মক্কেলদের আঙুলের ডগার চামড়া কেটে ফেলত গজ্জালাকন্ডুগারি এবং সাগাবালা।তারপর টিস্যুর একটি অংশ বের করে নিয়ে আবার সেলাই করে দেওয়া হত আঙুল। দু-এক মাসের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যেত। আর বছরখানেক যেতে না যেতেই আঙুলের ছাপে অল্প বদল চলে আসত, যা পুরনো অপরাধীর তকমা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এরপরেই নতুন ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাহায্যে নতুন ঠিকানা দিয়ে নয়া আধার কার্ড তৈরি করে ফেলত তারা। তারপর ফের কুয়েত যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করত তারা, জানিয়েছে পুলিশ।