• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২০১৮ কে মনে করিয়ে মরুরাজ্যে ভোটযুদ্ধে আলাদা লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেস!

জয়পুর, ১০ অক্টোবর– বিজেপি সরকারকে দিল্লি মসনদ থেকে নামাতে বিরোধী দলগুলির দ্বারা গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভোটের দামামা বাজতেই যেন নড়তে শুরু করেছে৷ বাংলার মতোই এবার রাজস্থানে আসন দফা নিয়ে একে অপরের সামনে দাড়িয়ে সিপিএম-কংগ্রেস৷ রাজস্থানে ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও সিপিএমকে এখনও কোনও আসন ছাডে়নি কংগ্রেস৷ তাদের সঙ্গে সমঝোতা বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি৷ ২০১৮ সালে কংগ্রেসের

জয়পুর, ১০ অক্টোবর– বিজেপি সরকারকে দিল্লি মসনদ থেকে নামাতে বিরোধী দলগুলির দ্বারা গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভোটের দামামা বাজতেই যেন নড়তে শুরু করেছে৷ বাংলার মতোই এবার রাজস্থানে আসন দফা নিয়ে একে অপরের সামনে দাড়িয়ে সিপিএম-কংগ্রেস৷ রাজস্থানে ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও সিপিএমকে এখনও কোনও আসন ছাডে়নি কংগ্রেস৷ তাদের সঙ্গে সমঝোতা বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি৷
২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সমঝোতা হয়নি রাজস্থানে৷ সিপিএম নেতৃত্বের কথায়, ‘আমরা চেয়েছিলাম৷ সমঝোতা হলে আরও বেশি আসন আসতে পারত৷’ যেহেতু রাজস্থানে কংগ্রেস শক্তিশালী, তাই সিপিএমকে কোনও আসন ছাডে়নি তারা৷
২৩ নভেম্বর হবে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন৷ ভোটের আর দেড় মাসও বাকি নেই৷ আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনও আগ্রহই দেখানো হয়নি৷ শীর্ষ নেতাদের আদেশের অপেক্ষায় বসে আছেন রাজস্থানের সিপিএম নেতারা৷ যদিও সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর৷ সিপিএমের রাজস্থান রাজ্য কমিটির সম্পাদক তথা অমরা রাম জানালেন, ‘আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস কোনও কথা বলেনি৷ সমঝোতা না হলে আমরা বাম দলগুলি মিলে আলাদাই লড়ব৷’
কৃষকসভার সর্বভারতীয় নেতা অমরা রাম ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন৷ সূত্রের খবর, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালালেও রাজস্থানের সিপিএম নেতারা অবশ্য এবারও একলা লড়াইয়ের পক্ষেই৷ গতবার কংগ্রেস ও বামেদের ভোট কাটাকাটির ফায়দা একাধিক আসনে তুলেছিল বিজেপি৷ গতবার অমরা রাম, পেমা রাম, এই দুই সিপিএম নেতা পরাজিত হয়েছিলেন৷ বর্তমানে রাজস্থান বিধানসভায় সিপিএমের দু’জন বিধায়ক  রয়েছেন৷ হনুমানগড় জেলা থেকে বলবান পুনিয়া ও বিকানের জেলা থেকে গিরিধারী লাল৷ হনুমানগডে়র বাদরা ও বিকানের জেলার ডুমরগঞ্জ আসন দু’টি সিপিএমের দখলে রয়েছে৷
জাতীয় স্তরে বিজেপিকে রুখতে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে৷ সেই জোটে কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সিপিএমও রয়েছে৷ কিন্ত্ত সিপিএমের সিদ্ধান্ত জাতীয় স্তরে জোট হলেও রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী লড়াই হবে৷ পশ্চিমবঙ্গে অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে সিপিএম৷ যদি বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট একাধিক নির্বাচনে মুখ থুবডে় পডে়ছে৷ আবার কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই সিপিএমের৷ ফলে সিপিএমের এই দ্বিমুখী নীতির জন্য বিজেপিরই সুবিধা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ আবার রাজস্থানে এবার বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবেই লড়বে সিপিএম এবং কংগ্রেস৷
রাজস্থান বিধানসভায় মোট ২০০টি আসন রয়েছে৷ সেখানে কৃষক আন্দোলনকে ঘিরেই কয়েকটা জায়গায় সিপিএমের সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে৷ শুষ্ক জমিতে জলের দাবি, ন্যায্য ফসলের দাম, এইসব ইসু্যকে সামনে রেখে সিপিএম সাংগঠনিকভাবে সুবিধা পেয়েছে৷ এর আগে সিপিএমের চারজন বিধায়ক থাকলেও গতবার দু’জন জিতেছিলেন৷ গত সেপ্টেম্বরে পলিটবু্যরো বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থানে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে যে ক’টি আসন পাওয়া যায়৷