• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেআইনি লেনদেন: প্রিয়ঙ্কার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি, সায় দিল আদালত

দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর– বিপাকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। একটি জমি কেনায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় রাজস্থান আদালত বৃহস্পতিবার এক রায়ে জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ও শাশুড়ি মৌরিন ভদ্রাকে গ্রেফতার করে জেরা করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজস্থান আদালতের বিচারপতি পিএস ভাট্টি এই রায় দিয়েছেন। তবে রবার্টকে ১৫দিনের জন্য স্বস্তি দিয়েছে আদালত। বিচারপতি ভাট্টি রায়ে বলেছেন, রবার্ট ভদ্রা ও

দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর– বিপাকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। একটি জমি কেনায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় রাজস্থান আদালত বৃহস্পতিবার এক রায়ে জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ও শাশুড়ি মৌরিন ভদ্রাকে গ্রেফতার করে জেরা করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজস্থান আদালতের বিচারপতি পিএস ভাট্টি এই রায় দিয়েছেন।

তবে রবার্টকে ১৫দিনের জন্য স্বস্তি দিয়েছে আদালত। বিচারপতি ভাট্টি রায়ে বলেছেন, রবার্ট ভদ্রা ও তাঁর মা ১৫ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবেন। ১৫ দিন ইডি তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না।

তাঁদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা প্রকট হতেই আদালতের দ্বারস্থ হন সোনিয়া গান্ধির মেয়ে-জামাই। বৃহস্পতিবার কোর্ট রবার্ট ও তাঁর মাকে গ্রেফতারি এড়ানোর কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি।

বছরের গোড়ায় ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রাক্তন দুই কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া ও রাহুল গান্ধিকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দু’জনেই নির্দিষ্ট দিনে ইডি দফতরে হাজির হয়েছেন। রাহুলকে টানা পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তাঁদের এখনও হেফাজতে নিয়ে জেরা করার কথা বলেনি ইডি। আবার ক্লিনচিটও দেয়নি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায়। কিন্তু রবার্ট ভদ্রা অন্য মামলায় ইডির মুখোমুখি হলেও এই মামলায় ভিন্ন রাস্তা নিয়েছেন।

মূল মামলাটি রাজস্থানের বিকানেরের। স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামে একটি কোম্পানির নামে জমিটি কেনা হয়। রবার্টের ওই কোম্পানিতে শেয়ার আছে। রবার্টের মা মৌরিন ভদ্রারও অংশিদারিত্ব রয়েছে। ইডি তাঁদের জেরা করতে সমন জারি করেছিল। কিন্তু তাঁদের কেউই সংস্থার সামনে হাজির হননি। পরিবর্তে, তাঁরা সম্ভাব্য গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে যান।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিকানেরের কোলায়াতে ২৭৫ বিঘা জমি কেনাতে আর্থিক লেনদনের অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ইসিআইআর বা এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ২০১৮ সালে। তদন্তে দেখা যায়, ওই জমি কেনা হয়েছিল জমির দালাল মহেশ নাগরের ড্রাইভারের নামে। কিন্তু চেক ইস্যু করা হয়েছিল রবার্ট ভদ্রার নামে।