উল্লেখ্য, প্রকাশ্য দিবালোকে ১৭ জনকে শুধু খুন নয় প্রমাণ লোপাটে তাদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেই সময়। অথচ এই ঘটনাটা ঘটনাতেও পুলিশ নাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি। প্রমানের ওভাবেই গুজরাত দাঙ্গার সময় নিহত ১৭ জনকে খুনের ঘটনার বিচার অধরাই রয়ে গেল।
বুধবার গুজরাতের পঞ্চমহল জেলার হালোলের একটি আদালত অভিযুক্ত ২২ জনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন ছিল শিশু। নিহত ১৭জনই ছিলেন মুসলিম। বুধবার আদালত যে ২২ জনকে রেহাই দিয়েছে তারা অবশ্য গ্রেফতার হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায়। তাদের মধ্যে আটজন মারা গিয়েছে। বাকিদেরও আর জেলের ভাত খেতে হবে না আপাতত।
গুজরাত দাঙ্গার প্রেক্ষিতে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যে হালোলের আদালতের রায়কে বিবদমান সব পক্ষই নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করছে। বিজেপির বক্তব্য, ফের প্রমাণিত হল, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল অভিযুক্তদের।
অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, আদালত নির্দোষ বলতে বাধ্য হয়েছে পুলিশের ভুলে। বোঝাই যাচ্ছে দাঙ্গাবাজদের আড়াল করতে গুজরাতের বিজেপি সরকারের পুলিশ কেমন তদন্ত করেছে। এতগুলি লোককে হত্যা করা সত্ত্বেও খুনিদের সাজা হল না।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাত সরকার উচ্চ আদালতে মামলা করবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলাগুলি যে অগ্রাধিকার পায়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০০২-এর ফেব্রুয়ারির ঘটনার এতদিনে নিম্ন আদালত রায় দিল। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুজরাত সরকার গোড়ায় অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল।