সেইসঙ্গে দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের উদ্দেশে সাকেত বলেছেন, দ্রুত এই ঘটনায় পদক্ষেপ করা হোক। তাঁর বক্তব্য, এটা কোনও খুনের ঘটনা নয়। অভিযোগকারিণীকেই এখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বাড়িতে। এটা কোনও সভ্য দেশে হতে পারে না।
শুধু তাই নয়। তৃণমূলের এই মুখপাত্র আরও বলেছেন, এইভাবে একজন ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো মানে তাঁকে আরও আতঙ্কগ্রস্থ করা। মানসিকভাবে তিনি আরও ভেঙে পড়বেন। তৃণমূলের বক্তব্য, দিল্লি পুলিশ অভিযোগকারী মহিলা কুস্তিগিরের উপর চাপ তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুধু তৃণমূলই নয় সংবাদসংস্থা পিটিআইও জানিয়েছে এই মহিলা কুস্তিগিরকে নিয়ে শুক্রবার দিল্লি পুলিশের একটি টিম ব্রিজভূষণের বাড়িতে গিয়েছিল। যদিও এই কথা অস্বীকার করে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ বলেছেন, শুক্রবার দুপুরে আমার বাড়িতে কেউ আসেনি। ওইসময়ে আমি ঘুমোচ্ছিলাম।
উল্লেখ্য কুস্তিগিররা ন্যায় পেতে ইতিমধ্যেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দু’দিন কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ব্রিজভূষণ বিজেপির নেতা বলেই তাঁকে ছেড়ে রাখা হয়েছে। তাঁর গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছিলেন মমতা।