দিসপুর, ২৯ মে– মণিপুরে আজ সোমবারই আসার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার আগেই ফের নতুন করে সংঘর্ষে রবিবার মৃত্যু হল ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে পুলিশকর্মীও রয়েছেন । আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন ।
এর আগে রবিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছিলেন, পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইতে অন্তত ৪০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছিল, রবিবার মণিপুরের একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল কুকি সংগঠনের উগ্রপন্থীরা। বিষ্ণুপুর, চান্ডেল এবং ইম্ফল পূর্ব জেলার এলাকায় ভোররাত থেকেই হামলা চালানো হয়। সাধারণ মানুষের উপরের চালানো হয় গুলি।
এর পরেই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।
এক রক্ষী মারা যান। মৃত্যু হয়েছে তিনজন সাধারণ নাগরিকেরও। এই লড়াইয়েই অন্তত ৪০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে মণিপুর সরকার দাবি করেছে। আহত অনেকে।
রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বলেন, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। একাধিক গ্রামে এসে অনেক বাড়িতেও আগুন লাগায়। তারপরেই এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় সেনার তরফে। সামিল হন অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও। হেলিকপ্টারে করেও তাদের সন্ধানে অভিযান চালানো হয়। এভাবেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার সেখানে অশান্তি মিটিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আনার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ইম্ফল উপত্যকার উপকণ্ঠে সাধারণ নাগরিকদের উপর সহিংস আক্রমণের ঘটনা সুপরিকল্পিত বলে দাবি করে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হিংসাদীর্ণ মণিপুরে সোমবারই যাওয়ার কথা অমিত শাহের। তিনি মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি বজায় রাখার এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মণিপুরে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে হিংসাত্মক হামলার ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না।