• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জয় বাংলায় কাবু বাংলা-দিল্লি-সহ গোটা দেশ, এইমসে ভর্তি পাঁচশোর বেশি

দিল্লি, ২৬ জুলাই– এখনো ‘জয় বাংলা’ নামেই এই রোগ বাংলার ঘরে-ঘরে পরিচিত। ডাক্তারি নাম কনজাংটিভাইটিস। বর্ষা এলেই সঙ্গে আসে চোখের ভাই সংক্রমণ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ঘরে ঘরে সংক্রমণ বাড়ছে এই রোগের। তবে শুধু বাংলা নয়, জয় বাংলা পা বাড়িয়েছে দিল্লি-নয়ডাতেও। প্রায় ঘরে-ঘরে এখন তার বাস। সূত্রের খবর, চোখের সংক্রমণ নিয়ে দিল্লি এইমসে রোজ ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক

দিল্লি, ২৬ জুলাই– এখনো ‘জয় বাংলা’ নামেই এই রোগ বাংলার ঘরে-ঘরে পরিচিত। ডাক্তারি নাম কনজাংটিভাইটিস। বর্ষা এলেই সঙ্গে আসে চোখের ভাই সংক্রমণ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ঘরে ঘরে সংক্রমণ বাড়ছে এই রোগের। তবে শুধু বাংলা নয়, জয় বাংলা পা বাড়িয়েছে দিল্লি-নয়ডাতেও। প্রায় ঘরে-ঘরে এখন তার বাস।

সূত্রের খবর, চোখের সংক্রমণ নিয়ে দিল্লি এইমসে রোজ ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক মানুষ। গোটা দেশে চোখের অসুখে আক্রান্ত হাজারের বেশি। কনজাংটিভাইটিস থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

দিল্লির সেন্টার ফর সাইটের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হর্ষ কুমার বলছেন, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত অন্তত ৬৪৬ জন। দেশে এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। শার্প আই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. সমীর সুদের কথায়, বর্ষা আর বসন্তে কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ে। আর চলতি বছরে তার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে একটু বেশি। তবে জানা গিয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশির দিকে। কিছু ক্ষেত্রে রেহাই মিলছে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।

চিকিৎসরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই রোগ সংক্রামক। যেহেতু গত তিন বছরে করোনা পরিস্থিতির জেরে দূরত্ব-বিধি ছিল, সেই কারণে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম। সেই দূরত্ব-বিধি কমায় এই রোগ এ বছরে বেশি ছড়িয়েছে। আর বাচ্চাদের মধ্যে চোখে-মুখে হাত দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে কারও এক জনের হলেই সেটা দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, নয়ডা, গুজরাত, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে।

কনজাংটিভাইটিস হল চোখের স্বচ্ছ লেয়ার বা স্তর, অর্থাৎ চোখের সাদা অংশের ওপরের আস্তরণ। কর্নিয়ার মার্জিন থেকে স্‌ক্লেরা এবং আই লিডের পেছনের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত এই কনজাংটিভা। আসলে এই অসুখের পিছনে রয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের কারাসাজি। অ্যাডিনোভাইরাস কনজাংটিভায় সংক্রমণ ছড়ায়, সেখানে বংশবিস্তার করে সংখ্যায় বাড়ে।  মনে হয় যেন চোখে ধুলোবালি জাতীয় কিছু পড়েছে, চোখ কড়কড় করে। মূলত চোখ টকটকে লাল হয়ে ফুলে যায়, কড়কড় করে ও চোখ থেকে পিছুটি পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ এড়ানো সম্ভব। আবার এই লক্ষণ দেখলেই সাবধান 

চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। চোখ কটকট করে। জ্বালা করে। চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে। চোখে সব সময় একটা অস্বস্তি ভাব থাকে। ডিসচার্জ বেশি হলে দৃষ্টিও কিছুটা কমতে পারে। কিছু কিছু কনজাংটিভাইটিস, যেমন ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে চোখে এতটাই ডিসচার্জ থাকে যে, ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা জুড়ে যেতে পারে। চোখে সামান্য ব্যথাও হতে পারে। আলোর দিকে তাকালে সমস্যা হতে পারে। জল পড়া এবং চোখ কটকট করাটাই কনজাংটিভাইটিসে প্রধান সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারও কনজাংটিভাইটিস হলে আলাদা গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চোখে হাত দিলে জামা কাপড়ে না মুছে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তা হলেই কিন্তু অনেকটাই ছোঁয়াচ বাঁচানো যায়। পরিষ্কার ঠান্ডা জলে দিনে তিন থেকে চার বার চোখ ধুতে হবে।