নিজস্ব প্রতিনিধি – বিহারের জমুইয়ে মঙ্গলবার ভোটপ্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক জনসভায় বলেন, কংগ্রেস যেখানে ৭০ বছরে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি, সেখানে আমি পাঁচ বছরে কীভাবে আমার সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করব? তাই আমাকে আপনারা আরও পাঁচ বছর সময় দিন যাতে আমি আমার প্রতিশ্রুতিগুলি পালন করতে পারি। এদিন মোদির সঙ্গে যৌথ প্রচারে শামিল হয়েহিলেন বিজেপির শরিক দলের নেতা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ছিলেন এনডিএ’র অপর শরিক দলের নেতা চিরাগ পাসওয়ান। মোদি এদিন বলেন, ‘আমি দাবি করছি না যে, আমি সব কাজ করতে পেরেছি। এখনো বহু কাজ বাকি আছে, তার জন্য মানুষের আশীর্বাদ আমার প্রয়োজন’। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি এবং কালো টাকা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে’। লোকসভা নির্বাচনের র মাত্র দশদিন বাকি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি এদিন কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার পেশ করেছেন, যাতে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান, কৃষকের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং মহিলাদের নিরাপত্তার উপর। প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসের ইস্তেহারে বর্ণিত প্রতিশ্রুতিকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশকে পিছিয়ে পড়ার সমস্ত দায় চাপিয়েছেন কংগ্রেসের উপর। এমনকি বাবা সাহেব আম্বেদকরকে তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ এনেছে মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেসের নুন্যতম রোজগার যোজনা সম্পর্কে মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কেবল নির্বাচনের সময়েই কংগ্রেস গরিব্দের কথা ভাবে’। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘আমাদের বীরসেনা শহিদদের সম্মান জানাতে তাদের অসমাপ্ত কাজ পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে আমাদের বীরসেনানী সম্পাদন করেছেন। অথচ কংগ্রেস ও ডিএমকে বন্ধু পাকিস্তানের সঙ্গে কেবল আলাপচারিতা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন’।
আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত কংগ্রেস দলের ইস্তেহারকে অবাস্তব, অরূপায়নযোগ্য এবং ক্ষতিকারক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি। দেশের পক্ষে এমন ক্ষতিকারক ইস্তেহার কেবল দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের অজ্ঞতারই পরিচয় দেয়। দেশের মানুষ কংগ্রেসের এই ইস্তেহার ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তবে ইস্তেহারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দলের সভাপতির ঘনিষ্ঠরা তৈরি করেছেন। তিনি রাহুলের দেশদ্রোহিতামুলক আইন বিলোপের আহ্বানকে নিছক আব্দার বলে কটাক্ষ করেছেন। কারণ জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধি এমনকী মনমোহন সিংও এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিতে সাহস দেখাননি।
কংগ্রেসের পক্ষে দলের ইস্তেহার কমিটির সভাপতি পি চিদম্বরম জানান, দেশের মানুষের কথাই কংগ্রেস তার ইস্তেহারে প্রকাশ করেছে। ইস্তেহারে সম্পদ ও কল্যাণের ওপরই জোর দিয়েছে দল। তিনি জানান, বেকারি, কৃষক এবং মহিলাদের দুর্দশা নিরসনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।