বিজেপির পাল্টা কংগ্রেসের ‘অপারেশন হাস্তা’, কর্নাটকে মরণ অবস্থা বিজেপির

বেঙ্গালুরু, ২১ আগস্ট– হাতের দাপটে কর্নাটকে টিকে থাকাই দায় বিরোধী দল বিজেপির। বিরোধী দলের পাল্টা দিতে বিজেপির অন্তত এক ডজন বিধায়ককে দলে টানতে মরিয়া হাত শিবির। আর এই বিজেপির বিজেপির ঘর ভাঙতে সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। আর এই রদ বদলের নাম দেওয়া হয়েছে  ‘অপারেশন হাস্তা’।

তবে যদি রাজনীতিক মহল বলছে চার বছর আগে বিজেপির অপারেশন লোটাসের বদলা নিতে ‘অপারেশন হাস্তা’য় নেমেছে গোটা কংগ্রেস শিবির । কংগ্রেস তরফে কোমর বেঁধে নাম হয়েছে যাতে লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপির ঘর ভাঙ্গনের কাজ সম্পূর্ণ হয়।

কর্নাটকে বিগত কয়েক বছর অপারেশন লোটাসের আতঙ্কে কেটেছে কংগ্রেসের। বস্তুত, ২০১৮-তে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার গড়লেও দেড় বছরের মাথায় ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। পদ্ম শিবির কংগ্রেস ও জেডিএসের মোট ১৭ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নেয়। তাঁদের মধ্যে পনেরো জন ছিলেন কংগ্রেসের। দলবদলুদের মন্ত্রী অথবা সরকারি সংস্থার মাথায় বসিয়ে খুশি করে বিজেপি সরকার।


সেই দলবদলু কংগ্রেস বিধায়কেরা এবার আদি দলে ফিরতে আগ্রহী। তাঁদের অনেকেই গত মার্চে কর্নাটক বিধানসভার ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন। তাঁদের একজন, আগের সরকারের মন্ত্রী এসটি সোমশেখর রবিবার একান্তে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে।

বিজেপির কাছে এই ‘অপারেশন হাস্তা’ মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ, ইতিমধ্যেই জনা ছয়েক বিজেপি বিধায়ক সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন। আর সেই খবর জানাজানি হতেই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মান ভাঙাতে হত্যে দিতে শুরু করেছেন বিজেপির দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, বাসবরাজ বোম্মাই ।

তবে শুধু কর্ণাটক বিজেপি নয় পরিস্থিতির গুরুত্ব এতটাই বেশি যে রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও নেমে পড়েছেন বিজেপির ঘর বাঁচাতে। দলীয় সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেঙ্গালুরু গিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। লোকসভা ভোটের আগে দল অটুট রাখতে মরিয়া বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। কর্নাটকে লোকসভার ২৮টি আসনের মধ্যে ২০১৯-এ বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। রাজ্য সরকার হাতছাড়া হওয়ায় এবার সেই সাফল্য ধরে রাখা কঠিন তার ওপর যদি এই বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় তাহলে বিজেপির যে করুণ অবস্থা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে, বিজেপি একদিকে, দলীয় বিধায়কদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে দলে রাখতে তৎপর। অন্যদিকে, কংগ্রেসকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে পদ্ম শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক সিটি রবি হুমকি দিচ্ছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস।