পাঞ্জাব, ২৮ সেপ্টেম্বর– মাদক চোরাচালান ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরাকে। চণ্ডীগড়ের সেক্টর-৫-এ কংগ্রেস বিধায়কের বাংলোয় তল্লাশি চালানোর পর পঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে মাদক নয় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি বলে গ্রফাতারের পর দাবি করেছেন খইরা। তিনি আরও বলেছেন সম্প্রতি রাঘব-পরিণীতির বিয়ের খরচ নিয়ে মন্তব্য করাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস ও আপের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগে নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে একটি মামলা ছিল। পুরনো সেই মামলার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে খাইরার বাড়িতে হাজির হয় পঞ্জাব পুলিশের একটি দল। তল্লাশি চালায় কংগ্রেস বিধায়কের বাংলোয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
আন্তর্জাতিক মাদর চোরাচালান চক্রের সঙ্গে খাইরার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ পঞ্জাব পুলিশের। সেই সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের আশ্রয় এবং তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে। চোরাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে খাইরা সম্পত্তি কিনেছিল বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে ২০১৪ এবং ২০২০ সালে কংগ্রেস বিধায়ক সম্পত্তির যে হিসেবে দিয়েছিলেন, তার মধ্যে গড়মিল ধরা পড়ে। আয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তি করার অভিযোগ ওঠে। এর আগে পঞ্জাব পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালানোর সময় একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ধৃত কংগ্রেস নেতা। তাতে পুলিশের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা গেছে তাঁকে।
কেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় খাইরা-কে। পুরানো মাদক চোরাচালান মামলার তদন্তে পঞ্জাব সরকার সিট গঠন করার পর এই তল্লাশি বলে আচরু রাম শর্মা নামে পুলিশের এক আধিকারিককে বলতে শোনা গেছে ভিডিয়োটি। তল্লাশি শেষে আটক করার পর খাইরাকে পঞ্জাব সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরা জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছেন’। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেন। তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন। পঞ্জাবে কংগ্রেসকে ভয় দেখানোর খেলায় আপ মুখ্যমন্ত্রী মেতেছেন বলেও দাবি করেন ধৃত কংগ্রেস বিধায়ক। সত্যের জয় হবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন।