• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এখনও রাজস্থানে প্রার্থী ঘোষণা হল না কংগ্রেসের , নিজের হয়ে সওয়াল করলেন গেহলট 

জয়পুর, ১৯ অক্টোবর – রাজস্থান-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটার নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  যদি এখনও পর্যন্ত রাজস্থানের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস।  এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানান, তিনি রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক পদ ছাড়তে চাইলেও পদ তাঁকে ছাড়ছে না। গেহলট আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তাঁকে ছেড়ে যাবে না।  অন্য চার রাজ্যের

জয়পুর, ১৯ অক্টোবর – রাজস্থান-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটার নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  যদি এখনও পর্যন্ত রাজস্থানের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস।  এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানান, তিনি রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক পদ ছাড়তে চাইলেও পদ তাঁকে ছাড়ছে না। গেহলট আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তাঁকে ছেড়ে যাবে না।  অন্য চার রাজ্যের অনেক বিধানসভা আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু ব্যতিক্রম রাজস্থান।

আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থান বিধানসভার ২০০টি আসনেই এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর দেশের অন্য চার রাজ্য— মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরামের সঙ্গে। রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো ছোট দলগুলির প্রার্থীরাও কয়েকটি আসনে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম কংগ্রেস।
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থান বিধানসভার ২০০টি আসনেই এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর দেশের অন্য চার রাজ্য— মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলেঙ্গানা এবং মিজ়োরামের সঙ্গে। রাজস্থানে  কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো ছোট দলগুলির প্রার্থীরাও কয়েকটি আসনে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম কংগ্রেস।
গত বিধানসভা ভোটার পর গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় কংগ্রেস। সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়।  গেহলটের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন সচিন।  যদিও শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্ব মওটাতে সমর্থ হয় এআইসিসি নেতৃত্ব।  সচিন পাইলট দল ছাড়েননি। কিন্তু এদিন আবার অশোক গেহলটের মন্তব্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়।   
সূত্রের খবর, গেহলট গোষ্ঠীর কয়েক জন বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে টিকিট দেওয়ার বিষয়ে জোরালো আপত্তি তুলেছেন সচিন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা। সম্ভবত, এমন সম্ভাবনার আঁচ পেয়ে আড়াই মাস আগেই সক্রিয় হন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে । যুযুধান দুই নেতার মধ্যে ভারসাম্যের নীতি নিয়ে জুলাই মাসে গড়া হয়েছিল ২৯ সদস্যের প্রদেশ কংগ্রেস নির্বাচন কমিটি। তাতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট এবং পাইলট দুইজনেই।
এদিন গেহলট জানান, কংগ্রেস প্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে জয়ের যোগ্যতাই একমাত্র মাপকাঠি। তিনি বলেন, দলের হাইকমান্ড তাঁকে তিনবার রাজ্যের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছেছে। ফলে দলের সিদ্ধান্তই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।    
 গত তিন বছর ধরেই পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছেন।  সে সময় ছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন। প্রাথমিক ভাবে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তখন গেহলটকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি সভাপতি হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে পারেন পাইলট, এ রকমই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ই গেহলট  অনুগামী ৮২ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁরা এআইসিসি প্রতিনিধিদের বৈঠকেও হাজির হননি। শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ড সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে সরিয়ে দেয় গেহলটকে। কিন্তু পাইলটের সমস্যা মেটেনি। 
দলীয় টিকিট দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে কোন মতপার্থক্য আছে কিনা তা জানতে চাইলে গেহলট বলেন, ‘কোনও মতবিরোধ নেই।  সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ভাবেই নেওয়া হবে।    ।