• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

জাতীয় কর্মসমিতিতে কংগ্রেস ত্যাগী অমরিন্দর

দিল্লি, ৩ ডিসেম্বর– এবার বহিরাগতদের দলে গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন পথে হাঁটা শুরু করল পদ্ম-শিবির। পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখরকে বিজেপি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করেছে। মাস ছয় আগে দু’জনে বিজেপিতে যোগ দেন। অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো অন্য দল থেকে আসা নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দৃষ্টান্তও আছে বিজেপিতে। কিন্তু

দিল্লি, ৩ ডিসেম্বর– এবার বহিরাগতদের দলে গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন পথে হাঁটা শুরু করল পদ্ম-শিবির। পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখরকে বিজেপি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করেছে। মাস ছয় আগে দু’জনে বিজেপিতে যোগ দেন।

অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো অন্য দল থেকে আসা নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দৃষ্টান্তও আছে বিজেপিতে। কিন্তু জাতীয় কর্মসমিতির মতো সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে বহিরাগতদের নেওয়ার চল এতকাল ছিল না। এই কমিটি দলের কর্মসূচি এবং নীতি নির্ধারণ করে থাকে।

বিজেপি সূত্রের খবর, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের জমি দখল করা পদ্ম শিবিরের লক্ষ্য। ওই রাজ্যে লোকসভার ১৩টি আসনের মধ্যে ২০১৯-এ বিজেপি জিতেছিল মাত্র দুটি আসন। কংগ্রেস দখল করে আটটি আসন। বাকি তিনটির দুটি পেয়েছে অকালি দল, একটি আপ।

বিজেপির লক্ষ্য, ১৩ আসনের মধ্য অন্তত আটটির দখল নেওয়া। সেই লক্ষ্যপূরণে তারা কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন নেতাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ কমিটির অন্তর্ভুক্ত করল। অমরিন্দর এ বছরের গোড়ায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে পাঞ্জাব লোকতান্ত্রিক কংগ্রেস গঠন করে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। পরে নিজের দল গুটিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। পাঞ্জাবের রাজনীতিতে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বিজেপি মনে করছে, তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেসকে ভাঙানো যাবে।

একই ভাবনা জাখরকে নিয়েও। পাঞ্জাবের প্রয়াত কংগ্রেস নেতা বলরাম জাখর ছিলেন কৃষক সমাজের মুখ। কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের কৃষিমন্ত্রীও ছিলেন বহুদিন। সুনীল জাখর তাঁর পুত্র। কংগ্রেস ছাড়ার আগে সুনীল ছিলেন পাঞ্জাবে দলের সভাপতি।