দিল্লি , ১৯ সেপ্টেম্বর – মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে শুরু হল লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। তার আগে পুরনো সংসদ ভবনে সেন্ট্রাল হলে শেষবারের মতো ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদের সাফল্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এলো আগামী দিনের নতুন ভারতের কথা। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, “এখন বিশ্ব আত্মবিশ্বাসী যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র শক্তিশালী হয়েছে। ভারত এখন নতুন শক্তিতে ভরপুর। নতুন আইন করে এগিয়ে যাওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। পার্লামেন্ট থেকে আসা প্রতিটি সংকেত হওয়া উচিত ভারতীয় আকাঙ্খার প্রচার। আমরা যে সংস্কারই করি না কেন, ভারতীয় আকাঙ্ক্ষা তার মূলে থাকা উচিত এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”
পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে আজ শেষবারের জন্য ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণের শুরুতেই পুরনো সংসদ ভবনের স্মৃতিচারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির কথা, ৩৭৭ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। বলেন, ‘মুসলিম-মা-বোনেরা বিচার পেয়েছেন এই ভবনে। তিন তালাক রদ হয়েছে, রূপান্তরকামীদের ন্যায়বিচারের জন্য আইন পাশ হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে আইন পাশ করা হয়েছে। এমন অনেক কিছু হয়েছে এই ভবনে।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমরা নতুন সংসদ ভবনে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা করতে যাচ্ছি। উন্নত ভারত তৈরির সংকল্প নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে যাচ্ছি।’ আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, ‘ভারতের সংকল্প পূরণ করতে আত্মনির্ভর হতে হবে আমাদের। আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান। কৃষিতে আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশের যুবশক্তির প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে।’
বিশ্বের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি তিন নম্বরে থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থায় ভারতের অর্থনীতি পরিণত হবে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থায় ভারত পৌঁছে যাবে। ‘
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের কথাও উঠে আসে মোদির বক্তব্যে। বলেন, “চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর দেশের যুবকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে বিজ্ঞান নিয়ে। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে এগোতে হবে।”
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের কথাও উঠে আসে মোদির বক্তব্যে। বলেন, “চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর দেশের যুবকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে বিজ্ঞান নিয়ে। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে এগোতে হবে।”
মোদি বলেন, ভাবনার ক্ষেত্রকে বাড়াতে হবে নয়তো উজ্জ্বল ভারত গড়ে উঠবে না। দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা জোর দিচ্ছি। আজ সারা বিশ্বে ভারতের স্বনির্ভর মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট হিসেবে আমাদের বিশ্বে উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেন্ট্রাল হলে তাঁর ভাষণে বলেন, “সংসদ ভবনের এই কেন্দ্রীয় হলটি অনেক আবেগে পরিপূর্ণ। এটি আমাদের আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। এই সংসদে অনেক আইন করা হয়েছে। অন্য সাংসদদের কাছে তাঁর আবেদন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।