• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মিশরের প্রেসিডেন্টকে ফোন উদ্বিগ্ন মোদির, পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় 

দিল্লি, ২৯ অক্টোবর – পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্রমাগত অবনতি এবং মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি-র  সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  ফোনেই এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে মোট বিনিময় করেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ ২৩ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। হামাসের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে

দিল্লি, ২৯ অক্টোবর – পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্রমাগত অবনতি এবং মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি-র  সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  ফোনেই এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে মোট বিনিময় করেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ ২৩ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। হামাসের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে গাজায় লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের প্রতিবেশী দেশগুলির ওপরও। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই এবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি-র সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা, ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি বিষয়ে পরস্পরের উদ্বেগ শেয়ার করছি।’

রবিবার, এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘গতকাল প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি-র সঙ্গে কথা বলেছি। পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি এবং মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করি। আমরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা, এবং সাধারণ মানুষের জীবনহানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করি। আমরা শান্তি, ও স্থিতিশীলতা দ্রুত পুনঃস্থাপন এবং মানবিক সহায়তা সহজতর করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত।’   

জানা গিয়েছে,  ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের জেরে আট হাজারেরও বেশি নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। যুদ্ধে প্রভাবিতদের কাছে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ করা এবং দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন তাঁরা।

অন্যদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রও জানান যে গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলি সেনার সামরিক অভিযানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধান আলোচনা করেন। ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, “মিশরে প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতা গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলি সেনার অভিযান এবং বর্তমান পরিস্থিতি জারি থাকলে কী বিপদ হতে পারে, সাধারণ নাগরিকদের জীবনে যুদ্ধের প্রভাব ও নিরাপত্তায় এটি কী ঝুঁকি তৈরি করছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।” যুদ্ধের কারণে গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা গভীর সংকটের মুখে পড়বে বলে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

মিশর প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র কাউন্সেলর আহমেদ ফাহমি বলেন, প্রেসিডেন্ট এল-সিসি নিশ্চিত করেছেন যে, মিশর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছনোর জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।   বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকায় হামলার ভয়াবহ প্রভাব সম্প[ওরকে সতর্ক করেছেন। তিনি কূটনৈতিক স্তরে একটি একটি তাৎক্ষণিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সমবেত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের উপর জোর দেন।  নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের কথাও বলেন।

প্রেসিডেন্ট এল-সিসি এবং মোদি দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক সহযোগিতার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মিশর ও ভারতের মধ্যে যৌথ সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপর জোর দিয়েছেন।