বেড়িয়ে আসুন উত্তরবঙ্গের অজানা গ্রাম বাঁশবাড়ি থেকে।

উত্তরবঙ্গ:- বাঁশবাড়ি উত্তরবঙ্গের একটি জায়গা। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। এই রঙ্গিত নদীর পাড়েই রয়েছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বাঁশবাড়ি সেখানে ছোটো ছোটো কটেজ বাড়ি। সেখানেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। শিলিগুড়ি থেকে বাঁশবাড়ির দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। যেতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। দার্জিলিং থেকে অবশ্য খুব বেশি দূরে নয়। মাত্র ২৯ কিলোমিটারের দূরত্ব। অর্থাৎ ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে দার্জিলিং পৌঁছে যাওয়া যায়। যাঁরা পুজোয় দার্জিলিংয়ের বুকিং পাননি তাঁদের জন্য বাঁশবাড়ি ভাল একটি বেড়ানোর জায়গা হতে পারে। একদিনে সাইড সিন হিসেবে বেড়িয়ে আসতে পারবেন দার্জিলিং থেকে। কারণ বাঁশবাড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যেতে সময় লাগবে মাত্র দেড় ঘণ্টা। তবে দার্জিলিং না গেলেও মন খারাপ হবে না। কারণঁ এখানকার একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। নিরিবিলি আর নির্জনতার মাঝে রঙ্গিতের বয়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তার সঙ্গে নানা ধরনের রংবেরঙের পাখি দেখতে পাবেন। পাহাড়ের উল্টোদিকেই সিকিম। বাঁশবাড়ি থেকে দেখা যায় চংটং চা বাগান। শিলিগুড়ি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় তিন থেকে চার ঘণ্টা সেখানে পৌঁছতে সময় লাগে। শেয়ারের গাড়িতে বিজনবাড়ি পর্যন্ত এসে সেখান থেকে গাড়িতে আসা যায় এই বাঁশবাড়িতে। অসাধারণ সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। পাহাড়ের খাঁড়াই এতোটাই যে দূর থেকে কেবল রঙ্গিতের বয়ে চলা দেখা যায়। রাতের বাঁশবাড়িতে পাহাড়ের গায়ে জোনাকি পোকার মতো সব আলো জ্বলে ওঠে।  পুজোয় যাঁরা একটু অন্যরকমের ডেস্টিনেশন ঘুরতে যেতে চাইছেন তাঁদের জন্য বাঁশবাড়ি খুব সুন্দর একটি জায়গা। তবে তার জন্য আগে থেকে বুকিং করিয়ে রাখতে হবে। তাই আর দেরি না করে এক্ষুনি বুকিং করে ফেলুন। অসাধারণ এই গ্রামে কাটিয়ে যান পুজোর ছুটির কটা দিন।