• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

মোদির পরামর্শে কেরলে ভোটের অঙ্কে বাস্তবায়নে পাখির চোখ খ্রিস্টানরা

 তিরুবন্তপুরম, ২৫ আগস্ট— বিজেপি-সহ গেরুয়াবাদীদের সঙ্গে অতীতে খ্রিস্টানদেরও বিরোধ-সংঘাত নতুন কথা নয় । যদিও সব সংখ্যালঘুকে গেরুয়াবাদীরা কোনও দিনই এক চোখে দেখে না। বিগত কয়েক বছর যাবৎ সংখ্যালঘুদের মুসলিম এবং অমুসলিম, এই দুই গোষ্ঠীতে ভাগ করে নিয়েছে তারা। কিন্তু সেই সেই খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রভাব বৃদ্ধি করতে নতুন পন্থা গ্রহণ করল বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, মুসলিমদের কোণঠাসা করতে এটা গেরুয়া

 তিরুবন্তপুরম, ২৫ আগস্ট— বিজেপি-সহ গেরুয়াবাদীদের সঙ্গে অতীতে খ্রিস্টানদেরও বিরোধ-সংঘাত নতুন কথা নয় । যদিও সব সংখ্যালঘুকে গেরুয়াবাদীরা কোনও দিনই এক চোখে দেখে না। বিগত কয়েক বছর যাবৎ সংখ্যালঘুদের মুসলিম এবং অমুসলিম, এই দুই গোষ্ঠীতে ভাগ করে নিয়েছে তারা। কিন্তু সেই সেই খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রভাব বৃদ্ধি করতে নতুন পন্থা গ্রহণ করল বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, মুসলিমদের কোণঠাসা করতে এটা গেরুয়া শিবিরের নয়া কৌশল। তারা অমুসলিম অন্য সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ কেরলে খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রভাব বৃদ্ধি করতে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি । দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষকে এই ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। সন্তোষ দিন কয়েক আগে কেরলের প্রধান চার্চগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

দলের প্রাথমিক লক্ষ্য খ্রিস্টান ও হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে ভোটের অঙ্কে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, প্রধান তিন ধর্মের মানুষই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সিংহভাগ সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। বিজেপির কৌশল হল, হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করে মুসলিমদের কোণঠাসা করে ধর্মীয় সমীকরণ জোরদার করা।

যদিও গত কয়েক বছর ধরেই তারা এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এ বছরের গোড়ায় দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা স্বয়ং চার্চ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য সফরে গিয়ে। কিন্তু রাজ্য নেতাদের মধ্যে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশ সেখানে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সন্তোষকে। তিনি কর্নাটকের আদি বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন সরাসরি আরএসএসের প্রচারকের দায়িত্ব পালনের সুবাদে কেরলের রাজনীতিতে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ভূমিকা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই ব্যাপারে দক্ষিণের ওই রাজ্যটি বড় বিচিত্র। সেখানে হিন্দুত্ববাদীদের মস্তিষ্ক আরএসএসের বিপুল প্রভাব সত্ত্বেও বিজেপি তেমন শক্তিশালী নয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বলেন, শুধু হিন্দু নয়, অন্য ধর্মের সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে থাকা অংশের মধ্যে দলের প্রভাব বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শকে বিজেপি ভোটের অঙ্কে বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েছে। যেমন উত্তরপ্রদেশে তারা পসমন্দা অর্থাৎ মুসলিমদের পশ্চাৎপদ একটি অংশকে কাছে টানার চেষ্টা করছে যারা ওই রাজ্যের পাঁচ কোটি মুসলিমের সিংহভাহ। একই ভাবে কেরলে বিজেপি মনে করছে খ্রিস্টানদের বেশিরভাগকে কাছে টানতে পারলে ভোটের বাক্সে সুফল মিলতে পারে।

গেরুয়া শিবিরের কৌশল আঁচ করে সিপিএম ও কংগ্রেসও খ্রিস্টানদের সখ্য জোরদার করার চেষ্টা শুরু করেছে।