• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভুটানের ডোকলাম অঞ্চলে চিনা নির্মাণ,  উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতীয় সেনাবাহিনী

দিল্লি, ১১ এপ্রিল – ফের ভুটান সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ছবি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় , ভারত-ভুটান সীমান্তে তোর্সা নদী যা  ভুটানে আমো ছো হিসাবে পরিচিত, সেই নদীর উপত্যকা ডোকলামে চিনের বিশাল নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছে । সীমান্ত লাগোয়া এলাকাটির ভৌগোলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে

দিল্লি, ১১ এপ্রিল – ফের ভুটান সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ছবি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় , ভারত-ভুটান সীমান্তে তোর্সা নদী যা  ভুটানে আমো ছো হিসাবে পরিচিত, সেই নদীর উপত্যকা ডোকলামে চিনের বিশাল নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছে । সীমান্ত লাগোয়া এলাকাটির ভৌগোলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। চিন, ভুটান এবং ভারত এই তিন দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ডোকলাম । ২০১৭ সালে ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে চিন। সেই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়।  এরপর গত তিন বছরে ডোকলাম ও ভুটান সীমান্তে এয়ার বেস, হেলিপোর্টের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেনা মোতায়েনের জন্য রাস্তাও তৈরি করেছে। এবার আবার এই চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়ল ।

‘ইন্ডিয়া টুডে’-র একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ভারত-ভুটান সীমান্তে তোর্সা নদীর উপত্যকায়  প্রায় ১০০০ সেনা থাকতে পারে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা  হচ্ছে। অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে  । সীমান্তের নিকটবর্তী ওই অঞ্চলে চিন, ভুটান এবং ভারত এই তিন দেশের সীমান্তে রয়েছে ডোকলাম মালভূমিতে । ২০১৭ সালে চিন-ভুটান সীমান্তে যেখানে টানা ৭৩ দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল ভারত ও চিনের সেনা, ছাউনি তৈরি হচ্ছে সেখানেই। আর ওই এলাকা আবার শিলিগুড়ি করিডর থেকে কাছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই এলাকায় সেনা ছাউনি তৈরি হলে সরাসরি শিলিগুড়ি করিডরে নজর রাখতে পারবে চিনের বাহিনী ।

ইন্ডিয়া টুডে’-র ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি ভুটানের সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তোর্সা নদীর ধারে চিনা পরিকাঠামো নির্মাণের কথা তুলে ধরেন ভারতীয় সেনাকর্তারা। ডোকলাম বিতর্কের সমাধান চেয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন যেভাবে সেনা বাঙ্কার তৈরি করেছে, তাতে স্পষ্ট, ওই অঞ্চলে আরও  বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েন করতে চায় চিনারা । এর ফলে আগামী দিনে ডোকলামে যদি আবার  বিরোধ শুরু হয়, চিনারা অনেক বেশি শক্তি নিয়ে লড়তে পারবে। এর আগে জানা যায় , ভুটানের সীমান্তের মধ্যে একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিনারা।  ২০২০ সাল থেকে ভুটান সীমান্তে একাধিক ছোট ছোট গ্রাম তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারত, চিন ও ভুটান সীমান্তে ডোকলাম মালভূমিকে নিজের দেশের অংশ মনে করে ভুটান। ভারত এই দাবি মেনে নিলেও, চিন দাবি করে ডোকলাম মালভূমি তাদের দেশের অংশ। ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তের কাছে রাস্তা তৈরি শুরু করে চিন। তাতে তীব্র আপত্তি জানায় ভারত। সিকিম পেরিয়ে  ডোকলামে পৌঁছে যায় ভারতীয় সেনা। মুখোমুখি হয় চিনের বাহিনীও। প্রায় আড়াই মাস ধরে দুই দেশের বাহিনী এইভাবে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল। এরপর কূটনৈতিক পথেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। নতুন করে সেনা পরিকাঠামো তৈরির খবর সামনে আসায় উদ্বেগ আবার বাড়ল ভারতের।