• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে যুদ্ধজাহাজের পসরা সাজিয়ে তৈরি চিন

ইসলামাবাদ, ১৪ নভেম্বর– এ বার ভারতকে চাপে রাখতে নতুন কৌশল নিচ্ছে ‘চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)৷ সেই পথে কাজে লাগানো হচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) কে৷ এই করিডরের নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ৷ সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে দেখাচ্ছে পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে মোতায়েন করা হয়েছে চিনা নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং ডুবোজাহাজ৷ সম্প্রতি করাচি উপকূলে পাক নৌসেনার সঙ্গে ‘সি গার্ডিয়ান-৩’

ইসলামাবাদ, ১৪ নভেম্বর– এ বার ভারতকে চাপে রাখতে নতুন কৌশল নিচ্ছে ‘চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)৷ সেই পথে কাজে লাগানো হচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) কে৷ এই করিডরের নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ৷ সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে দেখাচ্ছে পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে মোতায়েন করা হয়েছে চিনা নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং ডুবোজাহাজ৷
সম্প্রতি করাচি উপকূলে পাক নৌসেনার সঙ্গে ‘সি গার্ডিয়ান-৩’ যৌথ মহড়া শুরু করেছে চিনা নৌবাহিনী৷ ওই নৌবহর সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি৷
সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, ভারতীয় জলসীমার অদূরে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানীর উপকূলে নতুন নৌঘাঁটি নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করেছে বেজিং৷ তাদের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে নয়াদিল্লির উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷ এনডিটিভি প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উপগ্রহচিত্রে করাচি বন্দরে চিনা টাইপ-০৩৯ ডুবোজাহাজ এবং টাইপ-৫২ডি ডেস্ট্রয়ার গোত্রের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে৷
কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, ভারতকে চাপে রাখার জন্য চিনের ‘বৃহত্তর কৌশলে’রই একটি অংশ পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে এই সাম্প্রতিক তৎপরতা৷ গোটা অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য মেনে নেওয়া, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে নিজেদের সুবিধাজনক শর্ত ভারতকে মানতে বাধ্য করা এবং বেজিং-বিরোধী মার্কিন অক্ষ থেকে ভারতকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে ইসলামাবাদকে ব্যবহার করছে চিন৷
কয়েক বছর আগে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর হাতে যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সিএম-৩০২ তুলে দিয়েছে চিন৷ সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ২০০৬ সালে ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র আসার পর থেকে সমুদ্রে পাকিস্তানের উপর ভারতীয় নৌসেনার যে আধিপত্য তৈরি হয়েছিল, তা কমার সম্ভাবনা রয়েছে৷