লাদাখ , ২৪ এপ্রিল – আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার আগে রবিবার আলোচনায় বসলেন ভারত ও চিনা সেনা কম্যান্ডারের শীর্ষ আধিকারিকেরা। পূর্ব লাদাখে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্যই এই বৈঠকে বসে বলে সেনা সূত্রে খবর।লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের পর গত তিন বছরে এই নিয়ে মোট ১৮ বার মুখোমুখি বসলেন ভারত-চিন সেনা কম্যান্ডার।
পূর্ব লাদাখে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালির নেতৃত্বে চিনা কম্যান্ডারদের মুখোমুখি বসেন ভারতীয় সেনা আধিকারিকেরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখার জন্যই আলোচনা হয় দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের।
মূলত, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই এদিন আলোচনায় বসেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকেরা। আগামী সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। তাঁর এই সফরের আগে ভারত-চিন কম্যান্ডার বৈঠক বিশেষ তাত্পর্যপূর্ন। প্রসঙ্গত, চিন-ভারত বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর কোনও প্রচেষ্টায় দেখা যাচ্ছে না চিনেই তরফ থেকে। উল্টে পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকা ও গোগরার কাছে এখনও সক্রিয় চিনের ফৌজ। মজুত রয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চিনের ফৌজ যে হামলা চালাতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিনা আগ্রাসন মোকাবিলায় ভারতও পূর্ব লাদাখ সেক্টরে নতুন-নতুন ব়্যাডার এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে। ফলে সীমান্ত পরিস্থিতি যাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে, তাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র খুঁজতে এদিন ফের আলোচনায় বসেন দুই দেশের শীর্ষ কম্যান্ডারেরা।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় প্রথম চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীও তার পাল্টা জবাব দেয়। এর পর থেকে দফায়-দফায় বেশ কয়েকবার দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে লাদাখ। সমাধান সূত্রে খুঁজতে ইতিমধ্যে একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন ভারত-চিনা সেনা কম্যান্ডার থেকে দু-দেশের কূটনীতিকরা। কিন্তু, বর্তমানে ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লালফৌজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করতে ফের শুরু হয়েছে কম্যান্ডার স্তরে আলোচনা।