• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পাতালেও চিনের ষড়যন্ত্র, আকসাই মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে লালফৌজ 

লাদাখ, ৩০ আগস্ট– সম্প্রতি মানচিত্র নিয়ে একপ্রস্থ বাক্যযুদ্ধ হয়ে গেল ভারত-চিনের মধ্যে। অরুণাচল ও আকসাইকে নতুন মানচিত্রে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন । ভারত এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে। তবে এবার চিন  যে অপকর্মটি করেছে তা যথেষ্ঠ চিন্তাজনক ভারতের জন্য। আকসাই চিনে ঢুকে পড়ার ষড়যন্ত্র করছে তারা, তাও আবার মাটির তলা থেকে সুড়ঙ্গ করে। এমনটাই

লাদাখ, ৩০ আগস্ট– সম্প্রতি মানচিত্র নিয়ে একপ্রস্থ বাক্যযুদ্ধ হয়ে গেল ভারত-চিনের মধ্যে। অরুণাচল ও আকসাইকে নতুন মানচিত্রে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন । ভারত এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে। তবে এবার চিন  যে অপকর্মটি করেছে তা যথেষ্ঠ চিন্তাজনক ভারতের জন্য। আকসাই চিনে ঢুকে পড়ার ষড়যন্ত্র করছে তারা, তাও আবার মাটির তলা থেকে সুড়ঙ্গ করে। এমনটাই দাবি করছে উপগ্রহ চিত্র। উপগ্রহ চিত্র দেখে এমনটাই জানিয়েছে নয়াদিল্লি। 

ম্যাক্সারের নয়া উপগ্রহ চিত্র থেকে চাঞ্চল্যকর খবর জানা গেছে। স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়েছে কীভাবে আকসাই চিন উপত্যকায় সুড়ঙ্গ ও খাদ তৈরি করেছে লাল ফৌজ । নতুন সেনা ছাউনি ও সীমান্তে অস্ত্র ভাণ্ডার বানানোর উদ্দেশ্যেই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করছে চিন, এমনটাই দাবি।

উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় ধরে চিনা বাহিনী সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করছে। দেখা গেছে,  নদীর দুই পাড়েই চিন কমপক্ষে ১১টি সুড়ঙ্গ বা খাত তৈরি করেছে পাথর কেটে। বিগত কয়েক মাস ধরে এই নির্মাণকাজ চলছে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সেনা সূত্র বলছে, বরাবরই চিনের লাল ফৌজের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে আকসাই চিনে। ওই এলাকাকে বরাবরই ‘বিতর্কিত ভূখণ্ড’ বলে দাবি করে এসেছে ভারত। মানচিত্রে ভারতের উত্তর ও পূর্বে চিনের অধিকৃত তিব্বতের সঙ্গে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভারত বরাবরই দাবি করে এসেছে, ওই সীমান্তবর্তী এলাকার একটা বড় অংশ চিন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।

১৯৬২ সাল ভারত-চিন যুদ্ধের সময় লাদাখ ঘেঁষা আকসাই চিন দখল করেছিল চিনের বাহিনী। এরপরে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে প্যাঙ্গং লেকের উত্তরে পাহাড়ি এলাকা, গালওয়ান উপত্যকা, দেপসাং, গোগরা, হট স্প্রিং থেকে একেবারে দৌলত বাগ ওল্ডি পর্যন্ত এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করা শুরু করে চিন। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর থেকে ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় মরিয়া তারা। এমনকি এও দেখা গিয়েছে, কারাকোরাম পাসের ৩০ কিলোমিটার পূর্বে ছোট ছোট ঘর তুলছে চিনা বাহিনী। রেচিন লা-র দক্ষিণে সাজুন পাহাড়ের কাছেও এমন নির্মাণকাজ দেখা গিয়েছে। এই সাজুন পাহাড়ের কাছে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চিনা ফৌজ তাদের প্রস্তুতি সেরে রাখছে।

আরও একটা অবাক করা ব্যাপার দেখা গেছে দৌলত বেগ ওল্ডির কাছে। এই অঞ্চলে এমনতিও চিনা বাহিনী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আকসাই চিনে তাদের সামরিক পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে, মিসাইল সিস্টেম বসছে, হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে। তাই আকসাই চিন লাগোয়া দৌলত বেগ ওল্ডির কাছেও সেনা বাড়িয়েছে চিন। দেখা গেছে, দৌলত বেগের ৭০ কিলোমিটার পূর্বে কুইজিল জিলগার কাছে নতুন বাঙ্কার তৈরি হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সেখানে অস্ত্রশস্ত্র সমেত থাকারই পরিকল্পনা করেছে লাল ফৌজ। প্রায় ১৩০ মিটার এলাকাজুড়ে এমন নির্মাণকাজ দেখা গিয়েছে।