বেইজিং, ২৫ আগস্ট– জাপান থেকে সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার আমদানি বন্ধ করল চিন । জাপান ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক মিলিয়নের বেশি দূষিত জল প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার জেরে এই ঘোষণা চিনের। এছাড়া সমুদ্রে বর্জ্য ফেলার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে চিনের জেলে ও সমুদ্রজীবীদের মধ্যেও।
দুদিন আগে জাপান সরকার ধ্বংসপ্রাপ্ত প্লান্টটি থেকে জল অপসারণের ঘোষণা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার দূষিত জল সাগরে ফেলতে শুরু করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো)। অবশ্য প্রথম দিনে তারা অল্প পরিমাণে পানিই অপসারণ করেছে। টেপকো জানিয়েছে, জল অপসারণ করতে গিয়ে তাদের কোনও ঝামলা হয়নি।
ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূষিত জল অপসারণ করে সমুদ্রে ফেলার অনুমতি দিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার মনিটররা। সম্পূর্ণ পানি সরাতে টেপকোর ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট আশপাশের দেশগুলোর সমুদ্রজীবীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়েছে, চিনের জেলেরা মনে করছেন- সমুদ্রে এত বিশাল পরিমাণ দূষিত জল ফেললে তাদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা সমুদ্র দূষিত হলে তাদের ক্রেতারা সামুদ্রিক খাবার কেনা কমিয়ে বা বন্ধ করে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৯ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে জাপানে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি চুল্লি প্লাবিত হয়। চেরনোবিলের পর এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয় বলে মনে করা হয়।