নদিয়া,২৩ ডিসেম্বর —বাড়ি থেকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায় পাঁচ বছরের শিশুটিকে। তারপর তার মৃতদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় সর্ষে খেত থেকে উদ্ধার করা হয়।ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজলি এলাকায়।
সূত্রের খবর ,শত্রুতার জেরে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাবির মন্ডল নাম এক ব্যাক্তি । পরে সেই মৃতদেহ বস্তায় ভোরে সর্ষেখেতের মধ্যে ফেলে দিয়ে যায় ।পুলিশ গিয়ে ওই চাষের জমি থেকে বস্তাবাঁধা অবস্থায় শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , হিজলি এলাকার বাসিন্দা সাবির মণ্ডলের পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে গতকাল সন্ধ্যায় ওই এলাকারই যুবক আব্দুল গফফর শেখ লজেন্স আর চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।সেই মুহূর্তে বাড়িতে অনুপস্থিতি ছিলেন সাবির মন্ডল। এবং তার অনুপস্থিতির সুযোগ নেয় আব্দুল গফ্ফর। সন্ধেবেলা সাবির মণ্ডল বাড়ি ফিরে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে অবশেষে তিনি জানতে পারেন আব্দুল গফফর শেখ তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। এরপরই গ্রামবাসীরা গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে এই কথা অস্বীকার করে। এরপরই অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানেই চলে টানা জেরা। অবশেষে নিজের দোষ স্বীকার করে সে। জানায় বাচ্চাটিকে খুন করে লাশ সর্ষেখেতে ফেলে দিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পুরনো শত্রুতার জেরে সাবির মণ্ডলের মেয়েকে সে খুন করেছে। এ বিষয়ে রানাঘাট জেলা পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, ‘ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত আব্দুল গফফর শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলার পর পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।’