মেদিনীপুর, ২৩ আগস্ট — পোকায় কাটা জ্বর বাড়ছে দুই মেদিনীপুরে। বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত। জ্বর-খিঁচুনি নিয়ে বহু শিশু হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কোলাঘাটের এক শিশু চিকিৎসকের কাছে এক মাসে প্রায় ২০টি শিশু স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্ত হয়ে এসেছে বলে খবর। বেসরকারি হাসপাতালেও পোকায় কাটা জ্বর নিয়ে ভর্তি অনেক শিশু।
গত বছর উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ বেড়েছিল। জলপাইগুড়িতে পোকায় কাটা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল বহু মানুষ। এবার বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে স্ক্রাবের সংক্রমণ বেড়েছে বলে খবর।
ছোট এক ধরনের পোকার কামড়ে এই রোগ হয়। সেই পোকার কামড়ের দাগ এই রোগ চেনার একটি উপায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। স্ক্রাব টাইফাস হল একধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের উকুন থেকে ছড়ায় এর নাম ‘ট্রম্বিকিউলি়ড মাইটস’। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।
পোকা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিন পরে জ্বর আসে। কামড়ের দাগ, র্যাশ, লালচে ফোলা ভাব, ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো লাল দাগ , হাত-পা ব্যথা, শুকনো কফ ও বমি হতে পারে। ডেঙ্গি এবং স্ক্রাব টাইফাসের রোগের লক্ষণ অনেকটা একই। তাই অনেক সময় রোগ নির্ণয়ে সমস্যা হয়। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, ওই পোকা কামড়ালে প্রথমে কিছু বোঝা যায় না, পরে প্রবল জ্বর আসে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে সব অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে থাকে। জ্বরের ধরন ও পোকা কাটা স্থানের ক্ষত দেখে রোগীদের চিহ্নিত করা হয়।