বুধবার সকালে সেই পুরনো বাড়িতে বসেই খেলছিল জাহাঙ্গীরের দুই মেয়ে এবং দুই ভাইপো ভাইঝি। হঠাৎ করেই সেই বাড়িটির মেঝে বসে যায়। এরপর এই বাড়িটির দুটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে, যার নীচে চাপা পড়ে যায় শিশুগুলি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে শিশুগুলিকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল জাহাঙ্গীরের মেয়ে জারা। তাকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
অন্য তিনটি শিশুকে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে জাহাঙ্গীরের আর এক মেয়ের অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে তাকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাঙ্গীরের ভাইপো ভাইঝির মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্য একটি শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।