কলকাতা, ৩ জুলাই – রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এখানে মানুষের স্বার্থ খর্ব হয়নি বলে মত ডিভিশন বেঞ্চের। সোমবার এই মামলা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিলেন নব্যেন্দুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
মামলকারীর বক্তব্য, ‘‘গত ৭ জুন রাজীবকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। রাজ্য সঠিক পদ্ধতিতে এই নিয়োগ করেনি।’’ মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের আইন জানেন? আইন কী বলছে? মামলাকারী কে? প্রচারে আসার জন্যই কি মামলা?’’ তার পরেই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম প্রথম প্রস্তাব করে নবান্ন। তবে সেই প্রস্তাবে প্রথমে সবুজ সংকেত দেয়নি রাজভবন। এরপর আরও দু’টি নাম পাঠায় রাজ্য। পরে অবশ্য রাজীবকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের সম্মতি দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।গত ৭ জুন রাজীবকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। সম্প্রতি রাজ্যপাল রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটারও ফিরিয়ে দেন। তা নিয়েও তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নিয়োগ নিয়ে গোড়া থেকেই সোচ্চার ছিল বিরোধীরা। বিশেষ করে রাজীব সিনহার নিয়োগ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে এসেছে বিজেপি। রাজ্যপালকেও এনিয়ে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন রাজীব। যদিও এর পরের ঘটনাপ্রবাহে রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল নিজেও।
রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনারকে আইন মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এই মামলার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের বক্তব্যে সিলমোহর দিয়ে এদিন মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।