শুক্রবার এক টুইটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন,”টাকার দামের নিরলস পতনের মুখে সরকার অসহায়। টাকার দাম কমার জন্যই মুদ্রাস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি, সুদের হারের এই অবস্থা।” তাঁর দাবি, এই সরকার অর্থনীতির বেহাল দশা ঠিক করতে ব্যর্থ। সরকারের দরকার সুপরামর্শ এবং সঠিক দিকনির্দেশ। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
চিদম্বরমের তৈরী তালিকায় রয়েছেন সি রঙ্গরাজন, ওয়াই ভি রেড্ডি, রঘুরাম রাজন, রাকেশ মোহন এবং মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার মতো নামী অর্থনীতিবিদদের নাম। যদিও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এই পরামর্শকে দুঃসাহসী বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর বক্তব্য, যারা যারা দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে নীতিপঙ্গুত্ব এবং অর্থনীতির অধোগতির জন্য পরিচিত, তাঁদেরই পরামর্শ নিয়ে অর্থনীতি ঠিক করতে বলছেন চিদম্ববরম। এটা দুঃসাহস ছাড়া আর কী!
উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের নীতি বদলের জেরে ডলারের নিরিখে ভারতের মুদ্রার অধোগতি এখনও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই ডলারের দাম সর্বকালের রেকর্ড গড়ে ৮৩ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, এই রেকর্ড পতন নিয়ে তেমন ভাবিত নন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ । দিন কয়েক আগে আমেরিকায় দাঁড়িয়েই তিনি বলেন,“টাকার দামে পতন হচ্ছে না। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার থেকে ভারতীয় মুদ্রা তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থাতেই রয়েছে।”