কলকাতা , ৩ ফেব্রুয়ারী — শীত শেষে বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে শহরে। আর তার মাঝেই শোনা যাচ্ছে কলকাতা শহরে ইতিমধ্যেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে চিকেন পক্স।এই পরিস্তিতিতে চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। তবে কি করোনার মতোই ছড়াচ্ছে চিকেন পক্স ? গত কয়েক মাসে কলকাতা শহরেও চিকেন পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে করোনার মতোই ফেস-মাস্ক ও পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে হাম ও বসন্তের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এখন এই সব রোগ হওয়ারও কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে সংক্রামিত রোগগুলো ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফের সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়েই হাম, পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।বাঁকুড়া, উত্তরবঙ্গ থেকেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর আসছে।
চিকেন পক্স হলে আগে জ্বর হবে। পরের ২-৩ দিনের মধ্যে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা হবে। ছোট ছোট গুটির মতো র্যাশ বের হবে। খসখসে হয়ে যাবে ত্বক, চুলকানি হবে। সারা শরীর, মুখেও র্যাশ ছড়িয়ে পড়বে। ৫-৭ দিন পর্যন্ত র্যাশ বের হবে। পরে ধীরে ধীরে সেগুলিই জলভরা ফোস্কার মতো আকার নেবে। ফোস্কার ভিতরের রস ঘন হয়ে পুঁজের মতো হয়ে শুকিয়ে উঠবে।
বেলেঘাটা আইডির কোভিড নোডাল অফিসার কৌশিক চৌধুরী বলছেন, করোনার সময় যে ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা আবারও মেনে চলার সময় এসেছে। কারণ কোভিডের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে চিকেন পক্স। স্পর্শ থেকে এই সংক্রমণ ছড়ায় না ঠিকই, তবে আক্রান্তের হাঁচি-কাশি, মুখ থেকে বেরনো থুতু-লালার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই সাবধান থাকতেই হবে।