নভেম্বরে দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টারে প্রশ্নপত্রের ধরণ হবে এমসিকিউ ধাঁচের । এক্ষেত্রে ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। দ্বিতীয় সেমিস্টারে ছোট, বড় মিলিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা হবে একটাই।
সংসদ সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় স্তরে প্রায় সব পরীক্ষাই ওএমআর শিটে দিতে হয়। বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ওএমআর পরীক্ষা পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করতেই এই ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন সেমিস্টার পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব রাজ্যকে দিয়েছিল সংসদ। এ বার তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা সম্ভব নয়, কারণ সেক্ষেত্রে পাঠ্যসূচি ভাগ করতে হবে। ২০২৪ সালে যে পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য শিক্ষানীতিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব রয়েছে। তাতে সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এক্ষেত্রে কলেজের সেমিস্টার পদ্ধতিতে যেমন ছয় মাস অন্তর দুটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয় , স্কুলেও তেমন বার্ষিক পরীক্ষার বদলে বছরে দুটি করে পরীক্ষা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার চালু হলেও পরে নবম ও দশম শ্রেণিতেও এই পদ্ধতি চালুয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।