কলকাতা, ২৪ জুন – নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল কম হয়নি । সেই চিঠিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হাসপাতালের এক চিকিৎসককে। আগামী সোমবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ভিতরে কুন্তল ঘোষের গতিবিধি জানতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসককে তলব করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে । সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের চিকিৎসা ও হাসপাতালে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিষয় জানতে চাওয়া হতে পারে। এর আগে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। কুন্তল ঘোষ নিম্ন আদালতের বিচারক এবং হেস্টিংস থানায় সরাসরি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে। তারপর এই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং জেলের চিকিৎসককে তলব করা নতুন মোড় নিতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কুন্তল ঘোষ এই চিঠি মারফত পুলিশের হস্তক্ষেপ চান। ওই চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রয়োজনে সিবিআই–ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এই নির্দেশ বহাল রাখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। তখন অভিষেককে ২০ মে তলব করেছিল সিবিআই। সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে ইডির তলবে সাড়া দেননি অভিষেক। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে চিঠি কি কুন্তল লিখেছিলেন, লিখলেও নিজে লিখেছিলেন ? নাকি কাউকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন ?
এই চিঠিকে কেন্দ্র করে গত ৯ জুন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে তলব করেছিল সিবিআই। এবার জেলের চিকিৎসককে তলব করা হল। সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে চিঠি কুন্তল লিখেছেন নাকি অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আগামী ১৪ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই কী রিপোর্ট দেয় সেটাই এখন দেখার।