• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

গরু পাচার মামলায় আবদুল লতিফকে তলব করল সিবিআই

গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফকে তলব করল সিবিআই। আগামী মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। বীরভূমের ইলামবাজারের পশুহাট সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে আবদুল লতিফকে তলব বলেই খবর।  তদন্তে নেমে গরু পাচার মামলায় লতিফের যোগসূত্র নজরে আসে সিবিআইয়ের। জানা যায় , গরু পাচারের ক্ষেত্রে লতিফ ছিলেন প্রধান মাথা। সিবিআই চার্জশিট দাবি করেছে, ইলামবাজারের গরুর

গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফকে তলব করল সিবিআই। আগামী মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। বীরভূমের ইলামবাজারের পশুহাট সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে আবদুল লতিফকে তলব বলেই খবর।  তদন্তে নেমে গরু পাচার মামলায় লতিফের যোগসূত্র নজরে আসে সিবিআইয়ের। জানা যায় , গরু পাচারের ক্ষেত্রে লতিফ ছিলেন প্রধান মাথা। সিবিআই চার্জশিট দাবি করেছে, ইলামবাজারের গরুর হাটও নিয়ন্ত্রণ করতেন লতিফই । তার প্রভাব-প্রতিপত্তিও ক্রমশ বাড়তে থাকে। বোলপুরে মার্বেল গোডাউন,  বিঘার পর বিঘা জমি, সুখবাজারে চৌপাহারি এলাকায় পাঁচ একরেরও বেশি জমিতে হ্যাচারি-পোলট্রি ফার্ম, ইলামবাজার দুবরাজপুরে হাইওয়ের উপর গাড়ির শোরুম ও গাড়ি সার্ভিস সেন্টার, জয়দেব রোডের উপর ১৫ বিঘারও বেশি জমি নতুন পেট্রল পাম্প , হোটেল ব্যবসা ছাড়াও একাধিক বৈধ ও অবৈধ বালি ব্যবসা রয়েছে তাঁর।

নিজেকে পাথরের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন লতিফ। গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল গ্রেপ্তারের পরই গা ঢাকা দেন তিনি। দীর্ঘ সময় ফেরার থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন লতিফ ।  কালো টুপি, কালো চেক জামা,  মুখে কালো মাস্ক, চোখে চশমা দিয়ে আবদুল লতিফ দ্রুত ঢুকে পড়েন আসানসোল সিবিআই আদালতে। ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ৬ মে পর্যন্ত লতিফের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে পাসপোর্ট জমা রাখতে হযেছে তাঁকে । ৩ দিন অন্তর তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে লতিফ কে। তদন্ত সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন লতিফের আইনজীবী।
এদিকে, কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের সঙ্গেও  নাম জড়িয়ে গেছে লতিফের। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, যেসময় রাজু খুন হন, সেই সময় লতিফ সঙ্গে ছিলেন। এই খুন নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই এলাকা ছাড়েন লতিফ। বহু খোঁজখবর করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাই লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। লতিফ এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নিয়েই আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে যান তিনি। এবার গরু পাচার মামলায় আবার তাঁকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।