জনসংযোগে এবার ছুতোর রাহুল  

দিল্লি, ২০ অক্টোবর – মানুষের সাথে মিশে, মাটির কাছাকাছি গিয়ে জনসংযোগে বিশ্বাসী রাহুল গান্ধি। তিনি যে সব স্তরের, সব মানুষের প্রতিনিধি তা তিনি বারবার প্রমান করতে চেয়েছেন।  ভারত জোড়ো যাত্রার শুরুর সময় থেকেই মানুষের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন, মানুষকে নিজের লোক ভাবতে শেখানোর পণ নিয়েছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দিল্লির কীর্তিনগরের একে আসবাবের দোকানে পৌঁছে  গেলেন রাহুল। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে করাত তুলে নিয়ে কাঠও কাটেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের সঙ্গে মিশে জনগণের মন জয় করতে চান রাহুল গান্ধি। তাই এবার ছুতোরের ভূমিকায় রাহুল গান্ধি। রাজনৈতিক মহলের মতে, জনসংযোগ করতে নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

রাহুল গান্ধি  নিজের  এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন ‘আজ আমি কীর্তিনগরে এশিয়ার বৃহত্তম বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে ছুতোর ভাইদের সঙ্গে দেখা করি। তাঁরা শুধু পরিশ্রমীই নন, এই কর্মীরা ভালো শিল্পীও বটে। নিজেদের হাতের জাদুতে তাঁর সৌন্দর্যের জন্ম দেন। অনেকক্ষণ কথা বলেছি তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের থেকে কাজ শেখা ও করার চেষ্টা করেছি।’  সোশ্যাল মিডিয়াতেও  ছড়িয়ে পড়ে রাহুলের সেই সব ছবি।  এক ছুতোরকে রাহুল প্রশ্ন করেন, ‘ ঋণ পেলে কী করতেন আপনি? ‘ ওই ছুতোর তখন জবাব দেন, ‘ ঋণ পেলে ব্যবসা আরও বড় করতাম। বেশি টাকা থাকলে আরও কাঠ কিনতে পারতাম, আরও অর্ডার নিতাম, কারিগরও রাখতাম। পয়সা থাকলে কাজের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা বাড়ে।’ ক্ষমতায় আসলে কংগ্রেস তাঁদের সব আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবে বলে ইঙ্গিত দেন রাহুল গান্ধি । রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের মতো কারিগররা আসলে প্রত্যেকে বিশ্বকর্মা। আপনার কাজ করছেন, অন্য কেউ  লাভ  তুলছে। আপনাদের আরও বেশি লাভ পাওয়া উচিত। সরকারের  উচিত আপনাদের সাহায্য করা।’ হোয়াটসঅ্যাপ চ্য়ানেলে রাহুল লিখেছেন, ‘কীর্তিনগরে ছুতোর ভাইদের সঙ্গে সারাদিন কাটিয়েছি। কাজ শিখেছি। তাঁরা আমাকে কুর্সির মাহাত্ম্য বুঝিয়েছেন।’

ইতিমধ্য়েই রাহুল গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করা হবে বলে আভাস-ইঙ্গিত মিলেছে নেতৃত্বের তরফে। মোদির জায়গা নিজের দখলে আনতে রাহুলই হবেন বড় দাওয়াই এমনটাই মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ।
এর আগের জনসংযোগ গুলিতে রাহুল গান্ধি প্রতিবারই চমক দিয়েছেন। কর্নাটক নির্বাচনী প্রচারে ডেলিভারি বয়ের বাইকে ঘুরে তিনি চমক দিয়েছিলেন। সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও ট্রাক চালকদের অভাব অভিযোগ বুঝতে তিনি রাতভর আম্বালায় ট্রাকে চেপে ঘোরেন চালকদের সমস্যা বুঝতে। আবার কখনও ওয়ানাড়ের সাংসদ গ্য়ারাজে ঢুকে মেকানিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। মধ্য়াহ্নভোজ সেরেছেন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। এরপর আসবাবের বাজারে রাহুল গান্ধি।  লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই কি হবে তাঁর চমক ?