এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করব।”ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সত্যি প্রমাণিত হলে তার ফল কী হতে পারে, তারও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে দেশের মাটিতেই কানাডার নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হবে।”
জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত, এমনটা মনে করার ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে বলে সোমবার দাবি করেন ট্রুডো। তাঁর এই অভিযোগের পরই ভারত ও কানাডার মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়।
এই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অগ্রাহ্য করে ভারত। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংহতির বিরোধী শক্তিকে কানাডা মদত দিচ্ছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়। ভারত ২০২০ সালে নিজ্জরকে জঙ্গি তকমা দিয়েছিল। বুধবার সরকারি সূত্রে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খলিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন। তাঁরা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সে দেশের ভারতীয় হাই কমিশন-সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হাঙ্গামার ছক কষছেন বলেও ওই খবরে দাবি করা হয়।
এদিকে শনিবার কানাডায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত দাবি করেন যে, আমেরিকার নেতৃত্বে পাঁচ দেশের গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইস-এর দেওয়া তথ্যের পর ওই হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ করেন জাস্টিন ট্রুডো।