• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোদির খলিস্তানি প্রসঙ্গের পাল্টা বাণিজ্য উদ্যোগ বাতিল করল কানাডা

দিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর– সে দেশে খলিস্তানি তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরিণামে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্যোগ বাতিল করল কানাডা সরকার। অবশ্য কানাডা যে খালিস্তানি প্রসঙ্গ ভালোভাবে নেয়নি তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন চলাকালেই। কানাডায় ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধী খলিস্তানি তৎপরতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

দিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর– সে দেশে খলিস্তানি তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরিণামে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্যোগ বাতিল করল কানাডা সরকার। অবশ্য কানাডা যে খালিস্তানি প্রসঙ্গ ভালোভাবে নেয়নি তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন চলাকালেই। কানাডায় ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধী খলিস্তানি তৎপরতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । যদিও সেই সময় সাংবাদিক বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী খলিস্তানিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে বাক্ স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। ভারতের বিশেষ মন্ত্রক অবশ্য এই ব্যাখ্যা না মেনে নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, খলিস্তানিদের সম্পর্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে পাকিস্তানের অবস্থানের কোনও ফারাক নেই।

আর তার প্রতিক্রিয়াতেই শনিবার কানাডার ট্রুডো প্রশাসন ভারতের সঙ্গে ট্রেড মিশন বা বাণিজ্য অভিযান বাতিল করল । দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষে আগামী মাসে কানাডার প্রতিনিধিদলের দিল্লি আসার কথা ছিল। দু-দেশের অফিসার পর্যায়ের আলোচনা শেষ। অক্টোবরে দিল্লিতে চুক্তি সুই হওয়ার কথা। তার আগে শনিবার কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী একতরফা ঘোষণা করেন, তারা ট্রেড মিশন পাঠাচ্ছে না।

সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কড়া কথার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী বিমান বিভ্রাট গোটা পরিস্থিতিকে নয়া মাত্রা দেয়। জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরও ট্রুডোকে আরও তিনদিন দিল্লির হোটেলে অপেক্ষা করতে হয় তাঁর বিমান খারাপ হয়ে যাওয়ায়। ভারত সরকার তাঁকে দেশে ফেরার জন্য বিশেষ বিমান দিতে চাইলেও ট্রুডো তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে কানাডার বিমানবাহিনীর বিমান এসে প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তখনই নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারদের ধারণা হয়েছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন। বাণিজ্য মিশন বাতিল করে আসলে ভারতকে কূটনৈতিকভাবে পাল্টা কঠোর বার্তা দিতে চাইলেন ট্রুডো। 

জি-২০’র আলোচনার ফাঁকে আলাদা করে বৈঠক হয়েছিল মোদি ও ট্রুডোর । সেই বৈঠকেই কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা, ইন্দিরা গান্ধির শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনার পুননির্মাণ করে উল্লাস করার মতো বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস কর্মী এবং খলিস্তানের বিরোধিতাকারীদের উপর হামলাও চালিয়েছে বেশ কিছু শিখ জঙ্গি সংগঠন। এই সব ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন। তাছাড়া ভারত সরকারের কাছে রিপোর্ট আছে কানাডা প্রশাসনের মদতেই খলিস্তানিদের একাংশ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে। ট্রুডোকে এই সব বিষয়েও ভারতের উদ্বেগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসলে ভারতের পর কানাডাতেই শিখরা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাস করে। তারা মূলত সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক এবং ভোটের স্বার্থেই কানাডা প্রশাসন খলিস্তানিদের প্রতি নরম, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের টাকা-পয়সা জোগায় কানাডার খলিস্তানিরা। তারা পাঞ্জাবকে পৃথক রাষ্ট্র অর্থাৎ স্বাধীন দেশ হিসাবে পেতে চায়।