মঙ্গলবার রাহুল সেখানে একটি রোড শো করেন , তারপর জনসভাও করেন। সেই জনসভা থেকে তাঁর বার্তা, “সাংসদ শব্দ একটা তকমা মাত্র, একটা পদ মাত্র। বিজেপি আমার নামের পাশ থেকে সেই তকমা সরিয়ে নিতে পারে। আমাকে জেলে পাঠাতে পারে, ঘরছাড়া করতে পারে, কিন্তু ওয়ানাড়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে আমাকে আটকাতে পারবে না। ওরা ভেবেছে আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বা আমাকে বাড়িছাড়া করলে আমি ভয় পেয়ে যাব, আমাকে ওরা এখনো চেনেনি।”
রাহুল বলেন, “বিজেপি আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিয়েছে। আমি আর সাংসদ নই, তাই ওখানে থাকতে পারব না। এই বাড়ি হারিয়ে আমি খুশি কারণ আমি ওখানে থাকতে ভালোবাসি না। আমি দেখেছি বন্যার সময় এই ওয়ানাড়ে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।” এদিন রাহুলের রোড শো-তে হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
নিয়ম মোতাবেক, কোনও কেন্দ্র জনপ্রতিনিধিত্বহীন হয়ে পড়লে, সেই কেন্দ্রে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। সেইমতো, নির্বাচন কমিশনকে চলতি বছরেই ওয়ানাড় কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। সূত্রের খবর, রাহুল যদি সেই সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ আনতে না পারেন, তাহলে ওয়ানাড়ে উপনির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে রাহুলের জায়গায় প্রিয়াঙ্কাকে সাংসদ হিসাবে চায় কেরল কংগ্রেস। অর্থাৎ ওয়ানাড়ে উপনির্বাচন হলে প্রিয়াঙ্কার প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত আগেই ছিল। মঙ্গলবারে ওয়ানাড়ে প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি সেই ইঙ্গিতকেই আরও অর্থবহ করে তুলল।