দিল্লি, ২৮ মার্চ– মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি ফের খবরে । যে দু’জন মানুষ এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেছিলেন তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক আনন্দ রাইকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল শিবরাজ সিং চৌহন সরকার। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন!
আনন্দ রাই ইন্দোরের হুকুমচাঁদ সরকারি হাসপাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে আনন্দের অন্য এক পরিচয় হল তিনিই ছিলেন ব্যপম কেলেঙ্কারির হুইসেল ব্লোয়ার। শুধু তিনি একা নন সঙ্গে ছিলেন আশিস চতুর্বেদিও।
প্রসঙ্গত, সরকারি সংস্থা চাকরি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে থাকে। হিন্দিতে সেই সংস্থার নাম হল, ব্যবহারিক পরীক্ষা মণ্ডল। যার সংক্ষিপ্ত নাম হল, ব্যাপম। সেই সংস্থার নিয়োগ এবং অন্যান্য দুর্নীতির জাল বিস্তৃত ছিল রাজ্যের কোণায় কোণায়। তদন্তে দেখা যায়, বিজেপির মন্ত্রী, নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, আমলা, বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রী, কেউ বাদ নেই। টাকার বিনিময়ে দেদার বিক্রি হয়েছে চাকরি।
সোমবার আনন্দ রাইকে বরখাস্ত করার নোটিস পাঠানো হয় সরকারের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, শিবরাজ সিং চৌহন ও কিছু সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন ডা: আনন্দ রায়। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। গত বছর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি সম্প্রতি তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে আনন্দ রাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হল।
আনন্দ রাইয়ের বিরুদ্ধে এর আগেও দু’টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আদিবাসীদের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছিলাম। যা বিজেপি শাসিত সরকারের পছন্দ হয়নি। এবার আমি নির্বাচনে লড়ব।’ কংগ্রেস এই ঘটনার পিছনে ‘নোংরা’ রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে।