বীরভূম১৯ আগস্ট — আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে এরপরেই অরূপ বলেন,কেষ্ট মন্ডল সব করে দিয়েছিলেন। তারপর আমার থেকে ১০ কোটি টাকা চান। আমি বলি অত দিতে পারব না। তখন অনুব্রত বলেছিলেন, তোদের শিল্পপতি করে দিলাম। ২০০ কোটি টাকার কাজ আছে ওখানে।”সিউড়ির এই ঠিকাদার দাবি করেন, “একবার অনুব্রতর হাতে দেড় কোটি টাকা দিয়ে এসেছিলাম। বাকি টাকা দিয়েছি সায়গলের হাতে।” প্রসঙ্গত অনুব্রতর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গরু পাচার মামলায় মাস দুয়েক আগে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি।
শুধু তাই নয় শুক্রবার বোলপুরে অনুব্রতর ভোলে বোম রাইস মিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই। দেখা যায় সেই রাইস মিলের গ্যারাজে সারি সারি দামি এসইউভি দাঁড় করানো। সেই গাড়িগুলির মধ্যে একটি ছিল, ফোর্ড এনডেভার। অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ওই গাড়িটিও তাঁর কিনে দেওয়া। তাঁর ব্যবসার শরিক প্রবীর মণ্ডলের নামে কেনা গাড়িটি। ভিআইপি নম্বর-সহ ওই এনডেভার গাড়িটি কিনতে খরচ হয়েছিল ৪৬ লক্ষ টাকা!
প্রবীর মণ্ডলও সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, একটা সময়ে তিনি গাড়ি ফেরত চেয়েছিলেন। সেই সময়ে হুমকি দিয়ে অনুব্রত বলেছিলেন, “গাড়ি নিবি নাকি গাঁজার কেস নিবি ঠিক কর। তারপর আর ভয়ে কিছু বলিনি।”
অরূপ ভট্টাচার্য এও বলেন, সারা বাংলার পরিবহণ ক্ষেত্রকে ধ্বংস করেছেন অনুব্রত। পাথরের গাড়ি এবং বালির থেকে যে ভাবে তোলা আদায় চলেছে আজকে গাড়ির মালিকরা কাঁদছেন। তাঁর কথায়, “আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি। আমাদের আর ব্যবসা করার ক্ষমতা নেই!”