ডলার বাদ, রুপিতে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু

দিল্লি, ১২ জুলাই– ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যে ডলারের স্থান নিল টাকা বা রুপি। বাংলাদেশ ও ভারতের বণিকরা রুপিতে এই লেনদেনের জন্য এগিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার দু’দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক লেনদেন হয়েছে তার পরিমাণ ছিল ২৮ মিলিয়ন টাকা । অর্থাৎ ডলারের পরিবর্তে দুই দেশের বণিকেরাই ভারতীয় টাকা অর্থাৎ রুপিতে লেনদেন করেছেন। মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপিতে লেনদেনের ফলে দু’ দেশের বণিকেরাই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। যার পরিমাণ কম করে ২০ শতাংশ। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে ওই পরিমাণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ভারত থেকে বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। আর ভারতে রফতানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। এই লেনদেনের অনেকটাই এখন হবে ভারতীয় রুপিতে। কিছদিন পর বাংলাদেশি টাকাতেও।

বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনই নয়, সে দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক নতুন ডেবিট কার্ড চালু করছে যা দিয়ে বাংলাদেশিরা ভারতে কেনাকাটাও করতে পারবেন টাকার বিনিময় মূল্যের হিসাবে। এরফলে বিনিময় খরচ থেকে রেহাই মিলবে। সাশ্রয় হবে টাকা ও রুপির। পাঁচ মাসের মধ্যে টাকা ও রুপিতে লেনদেনযোগ্য ডেবিট কার্ড চালু করা হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশের নিজস্ব এ ডেবিট কার্ডে নাম হবে ‘টাকা পে কার্ড’।


সূত্রের খবর, ভারতীয় টাকার পর শুরু হবে বাংলাদেশী মুদ্রায় দু’দেশের বাণিজ্য।

নয়াদিল্লির খবর, ভারত সরকার ইওরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে যাতে সেখানেও ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন সম্ভব হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, চলতি বছরেই এই ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। এরফলে প্রাথমিকভাবে উপকৃত হবেন বণিক ও পর্যটকেরা।

বর্তমানে ভিসা, মাস্টার কার্ড ইত্যাদির ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেবা দুই দেশের চালু আছে। ওই সব কার্ড ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর বিপুল বিদেশি মুদ্রা দুই দেশ থেকে লাভ করে থাকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলি। নয়া ব্যবস্থায় দুই দেশও লাভবান হবে। সাশ্রয় হবে ডলারের।