ইসলামাবাদ, ৪ অক্টোবর– প্রধানমন্ত্রী পদ যাওয়ার পর একের পর এক সমস্যায় জর্জড়িত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তোষাখানা মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট কাপ্তান ইমরান খান। সেখানকার অব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই নালিশ জানিয়েছে ইমরানের আইনজীবী। কিন্তু এবার ইমরান তরফে যে অভিযোগ করা হল তা ইমরানের দল তথা তার ভক্তদের জন্য বেশ চিন্তার। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ইমরানের । তার স্ত্রী বুশরা বিবি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ইমরান খানকে জেলের ভেতরে বিষপ্রয়োগ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলায় ‘দোষী সাব্যস্ত’ হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি কারাগারে তার স্বামীর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে, একই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খানের একজন আইনজীবীও। এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই আইনজীবী।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে ইমরান খানের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা তার এই আইনজীবীর নাম নাঈম পাঞ্জুথা। তিনি একইসঙ্গে ইমরান খানের আইন বিষয়ক মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন। নাঈমের অভিযোগ, ইমরান খানকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তার চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
নাঈম পাঞ্জুথার ভাষায়, “ইমরান খানকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্লো পয়জনিং বা বিষপ্রয়োগে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। তাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে এবং তার চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের একটি নিম্ন শ্রেণির সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ইমরান খানের সেলের বাইরেই নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।”
এর আগে আদালতের নির্দেশে তাকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অ্যাটক কারাগার থেকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গত সোমবার বিভিন্ন ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নয়টি ভিন্ন মামলায় ইমরান খানের জামিন পুনর্বহাল করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
গত মাসে দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে পরে কারাদাণ্ডের সেই রায় স্থগিত করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। যদিও এসব অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন ইমরান।
যদিও গোপন তারবার্তা ফাঁসের ‘গুরুতর অপরাধে’ এখনও ইমরানকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ১৮০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।