কলকাতা , ৫ অগাস্ট – বর্ষীয়ান বামনেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবং সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। শনিবার দুপুরে এই নিয়ে বৈঠকে বসছেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার তাঁর ইউরিনারি ক্যাথেটার খোলা হয়েছে। শনিবার তাঁর শরীর থেকে রাইলস টিউব এবং বাইপ্যাপ ছাড়া বাকি সমস্ত সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। শনিবার পর্যন্ত বুদ্ধদেবের অ্যান্টিবায়োটিকে ডোজ চলবে।
আগের থেকে অনেকটাই ভাল হয়ে উঠেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রাও কমেছে। অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টও ঠিক আছে । উডল্যান্ড হাসপাতালে শনিবার মেডিকেল বায়োমেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক হবে , যে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ সিপিএসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বুদ্ধদেবকে কবে ছাড়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, কীভাবে বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলবে তাও ঠিক করে দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
এক সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন তিনি। তাঁর চিকিৎসায় তৈরী হয় মেডিকেল বোর্ড। এক সপ্তাহের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর আগেই একটু সুস্থ বোধ করতেই বাড়ি ফেরার জন্য চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেন বুদ্ধদেব। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদনে তখন সাড়া দেননি চিকিৎসকেরা। গত কয়েকদিনে বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধদেবের বাড়ি ফেরার ইচ্ছে পূরণ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে উডল্যান্ডস হাসপাতালের কর্ণধার রূপালি বসু বলেন, ‘বুদ্ধবাবু দ্রুত সেরে উঠছেন। ওঁর অক্সিজেন নির্ভরতা কমেছে। বুকে সামান্য জল জমেছে। তবে সেটা উদ্বেগের কিছু নয়।’ তবে এই সপ্তাহে তাঁকে বাড়ি ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানান রূপালি বসু ।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বাম নেতারা। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।