• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ওয়াগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার পথে ব্রিটেন 

মস্কো, ৬ সেপ্টেম্বর–  চলতি বছরের ২৩ আগস্ট  বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রুশ বেসামরিক সেনাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের।  প্রিগোজিনকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়েছে। যদিও একে দুর্ঘটনা না বলে ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছেন বহু রাজনৈতিক। কারণ প্রিগোজিন রুশ প্রধান পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধে নেমেছিলেন। পরে অবশ্য পিছিয়ে আসেন। কিন্তু এই বিদ্রোহ যে মস্কো প্রধান

মস্কো, ৬ সেপ্টেম্বর–  চলতি বছরের ২৩ আগস্ট  বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রুশ বেসামরিক সেনাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের।  প্রিগোজিনকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়েছে। যদিও একে দুর্ঘটনা না বলে ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছেন বহু রাজনৈতিক। কারণ প্রিগোজিন রুশ প্রধান পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধে নেমেছিলেন। পরে অবশ্য পিছিয়ে আসেন। কিন্তু এই বিদ্রোহ যে মস্কো প্রধান ভালো চোখে নেন নি তা একবাক্যে মেনে নেয় গোটা দুনিয়া। আর প্রিগোজিনের মৃত্যুর পেছনে যে মস্কো প্রধান দায়ী তা বলেছেন অনেকে।
সেই প্রিগোজিন ২০১৪ সালে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ওয়াগনার গ্রুপটিকেই নিষিদ্ধ দলের তালিকায় ফেলতে চলেছে ব্রিটেন। ওয়াগনার এখন ব্রিটেনের অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন যেমন হামাস এবং বোকো হারামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। কোনো ব্যক্তি ওয়াগনারে যোগ দিলে অথবা তাকে সমর্থন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন প্রশাসন। মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন । কোনো ব্যক্তি ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিলে অথবা তাদের সমর্থন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন প্রশাসন।

বুধবারই এসংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পেশ হওয়ার কথা। পার্লামেন্টে এটা পাস হয়ে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, ওয়াগনার বাহিনী  লুট, হত্যা এবং অত্যাচারের সঙ্গে যুক্ত। ইউক্রেন এবং আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে। এ কারণেই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় ব্রিটেন ।

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছেন,  ‘ওয়াগনার বাহিনী হিংসাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক… রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি সামরিক হাতিয়ার।’  তিনি আরো বলেন, ‘ইউক্রেন এবং আফ্রিকায় এদের কাজ বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’ স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেন, ‘ওয়াগনার এমন অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে শুধু ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে।
ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে আগ্রাসনের পাশাপাশি সিরিয়া, লিবিয়া, মালিসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নাগরিকদের হত্যা, নির্যাতনসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগও রয়েছে। এই বছরের শুরুতে গোষ্ঠীটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। যখন ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রুশ সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।